আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
যোহরের ওয়াক্ত চলাকালীন সময়ে (তখনো সলাত পড়া হয়নি ) বাইরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে , দেরি হলেও যোহরের সলাত পুরো ১০রাকআত পড়ে বের হতাম । কিন্তু , ইদানিং কয়েকমাস যাবত এতই অলসতা বেড়েছে যে , আমি শুধু ফরজ রাকাত পড়েই সলাত শেষ করে দেই , সুন্নাহের রাকআত গুলো ছেড়ে দেই । এমনটা বিতরের সালাতে ক্ষেত্রেও করার কারণে , অনেক জমে যাচ্ছে । পূর্বে আমি এমন ছিলাম না । ফরজ-সুন্নাহ সকল রাকাত পড়া হতো এবং তাহাজ্জুদের অভ্যাসও ছিল , তাও এই প্রকট অলসতার কারণে পড়া হয়না । আমি আগে যেমন ইচ্ছে না হলেও  নিজের উপর জোর খাটিয়ে আল্লাহর ইবাদত পূর্ণ করার চেষ্টা করতাম , কিন্তু কয়েকমাস এতই কেমন পরিবর্তন হয়েছে, আমি জানিনা । মিথ্যা বলার প্রবণতাও দেখা দিচ্ছে , পরনিন্দা/গীবত , দৃষ্টির নত রাখায় সমস্যা হওয়া , স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া , আগে সলাতের পরে কিছু যিকর করতাম তাও এই অলসতার কারণে লোপ পেয়েছে । পড়াশোনাতেও মনোযোগ আসছে না , কোনোভাবেই না ,আবার কিছু পড়লেও সহজে মনে রাখতে পারিনা । কিছু বিষয় যা দেখি সবাই বুঝে ফেলছে, কিন্তু আমি বুঝিনা । । এতে রেজাল্টও আশাস্বরূপ হচ্ছে না । আমি যা যি করছি ইদানিং, সবগুলোর পরিণতি কি হতে পারে , এসবের ব্যাপারে আমি অবগত কিন্তু আমি নিজেকে এসব থেকে বের করতে পারছি না । কুরআনও পড়া হয়না
স্পষ্ট কথা বলাতেও জড়তা দেখা দেয় মাঝে মাঝে . ফজরে উঠতে পারি না , উঠলেও আবার ঘুমিয়ে যাই । ঘুমানোর আগে উযু করে নেয়া , বিভিন্ন দুআ পড়া ,ফজরের পর কুরআন পড়া ও বিভিন্ন যিকর বা দুআ পড়া সবই লোপ পেয়েছে আমার নিত্য অভ্যেস থেকে

আমাকে প্লিজ পরামর্শ দিন , আমি কি করবো বা আমার কি করা উচিত আর কিভাবে দুআ করা উচিত?!! (আমার বর্তমান বয়স - ১৭বছর ৮মাস ২৭দিন , )

এতোগুলো জমে যাওয়া কাযা সালাত কিভাবে আদায় করবো??

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

অলসতা হতে আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা:

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ ".

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন : হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণভার ও মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে। সহীহ বুখারী, হাদিস নং- ৬৩৬৯

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 

নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 

নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহ্ কাছে মুনাজাত করেতাঁকে স্মরণ করেতাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে। 

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

 

একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ -কে বললঅমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেনসে কি এখনো নামাজ পড়েসবাই বললহ্যাঁপড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনসে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)

একাকী থাকা যাবেবা। বিশেষ করে একাকী রাত কাটানো যাবেনা। 

হাদিসে এসেছে নবী   কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৯১)

 

ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়াডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়াপেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানোযেহেতু এ সম্পর্কে নবী -এর নিষেধ আছে।

 

কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার  রাখা যাবেনা,সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে।

যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।

 

কাযা নামাজ কিভাবে আদায় করবেন- https://ifatwa.info/50083?show=50103#a50103

গোনাহের শাস্তি ও তাওবা সম্পর্কে জানুন- https://www.ifatwa.info/906

কয় অবস্থায় মিথ্যা বলা জায়েজ- https://ifatwa.info/48824?show=48826#a48826

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

. আপনি অলসতা দূর করার জন্য উপরোক্ত আমলটি করতে পারেন আর বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করুন অলসতা দূর করে ফেলুন আর বেশী বেশী আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করতে থাকুন যেনো তিনি আপনাকে আবার পূর্বের অবস্থার মত আমল করার তাওফীক দান করেন

২. গোনাহ করলে স্মরণ শক্তি লোপ পায়। তাই সকল ধরণের গোনাহ থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে দেখবেন স্মরণ শক্তি আরো বেড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আবার স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে বেশী বেশী দুআ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (27 points)
আলহামদুলিল্লাহ!!! উস্তাযকে এতো সুস্পষ্টভাবে উত্তর প্রদানের জন্য , জাযাকাল্লাহু খইরন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...