জুমা ও ঈদের খুতবা চলাকালীন মুসল্লীদের চুপ থাকা ওয়াজিব। এ সময় সকল প্রকার কথাবার্তা এমনকি যিকর,নামাজ থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ রয়েছে।
,
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
وَجَبَ الْإِنْصَاتُ فِي أَرْبَعَةِ مَوَاطِن: الْجُمُعَةِ وَالْفِطْرِ وَالْأَضْحَى وَالِاسْتِسْقَاءِ.
চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিবঃ জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং ইসতিসকার (খুতবার) সময়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৫৬৪২)
হযরত উরওয়াহ রা.বলেন,
যখন ইমাম মিম্বরে বসবে তখন আর কোনো নামাজ পড়া যাবে না। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা,হাদিস:৫২১৩]
হযরত আবু যার রা. বলেন, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবায় সূরা বারাআত পাঠ করলেন। তখন আমি উবাই ইবনে কাআব (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এ সূরাটি কখন অবতীর্ণ হয়েছে? আমার প্রশ্ন শুনে তিনি চেহারা মলিন করলেন এবং চুপ থাকলেন। এভাবে পরপর তিনবার প্রশ্ন করার পরও তিনি আমাকে কোনো উত্তর দিলেন না। জুমার নামায শেষ হওয়ার পর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে বার বার প্রশ্ন করার পরও কোনো উত্তর দিলেন না কেন? তখন উবাই রা. বললেন, (খুতবা চলাকালে প্রশ্ন করার কারণে) আপনি জুমার কোনো সওয়াব পাননি। আপনার অনর্থক কথা বলা হয়েছে। তখন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে উবাই রা.-এর এ কথা জানালাম। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উবাই ঠিকই বলেছে। ( সহীহ ইবনে খুযাইমা ২/৮৭৪, হাদীস : ১৮০৭)
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব ও যুহরী রাহ. বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে কোনো নামায পড়া যাবে না। আর খুতবা শুরু করলে কোনো কথা বলা যাবে না।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/১০৩-১০৪)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জুম'আর খুতবা চলাকালীন সময়ে মুসল্লীগণ চুপ থাকবেন।
এ সময়ে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে দোয়া করা জায়েজ নেই।
বরং মনোযোগ সহকারে সকলের খুতবা শ্রবণ করতে হবে।
(০২)
আপনি মহল্লার মসজিদে নামাজ আদায় করবেন।
বাসায় এমতাবস্থায় নামাজ আদায় করার অনুমতি শরীয়তে নেই।