আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
137 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,,
১/খুতবার দোআর সময় হাত তুলে সম্মিলিতভাবে  দোআ করা যাবে কি? দলিল সহ দিলে উপকৃত হতাম।
২/ আমাদের এলাকায় মসজিদ আছে দুটো একটা হলো এতাএতিদের মসজিদ আরেকটা মহল্লার মসজিদ আমি শুনেছি হাটহাজারী মাদ্রাসার ফতোয়া অনুযায়ী এতাএতিদের পিছনে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি, আর ফাসেক ইমামের পিছনে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি  ট আমাদের মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব শরিয়তমতে ফাসেক এটা অল্প কয়েকজন লোক জানে আর কেউ জানে না  এখন ২ মসজিদে নামাজ পড়লে মাকরুহে তাহরিমি হবে তাই অন্য এলাকার মসজিদে নামাজ পড়তে যাই এখন যদি কোন কারনে যেমন বৃষ্টি পড়া বা অন্য কোন ওজরের কারনে যদি অন্য এলাকার মসজিদে নামাজ পড়তে যাইতে না পারি তাহলে ওই ওয়াক্তের নামাজ বাসায় পড়তে পারবো কি বা আমার করনীয় কি?

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
জুমা ও ঈদের খুতবা চলাকালীন মুসল্লীদের চুপ থাকা ওয়াজিব। এ সময় সকল প্রকার কথাবার্তা এমনকি যিকর,নামাজ থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ রয়েছে।
,
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-
وَجَبَ الْإِنْصَاتُ فِي أَرْبَعَةِ مَوَاطِن: الْجُمُعَةِ وَالْفِطْرِ وَالْأَضْحَى وَالِاسْتِسْقَاءِ.
চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিবঃ জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং ইসতিসকার (খুতবার) সময়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৫৬৪২)

হযরত উরওয়াহ রা.বলেন,
যখন ইমাম মিম্বরে বসবে তখন আর কোনো নামাজ পড়া যাবে না। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা,হাদিস:৫২১৩]

হযরত আবু যার রা. বলেন, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবায় সূরা বারাআত পাঠ করলেন। তখন আমি উবাই ইবনে কাআব (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এ সূরাটি কখন অবতীর্ণ হয়েছে? আমার প্রশ্ন শুনে তিনি চেহারা মলিন করলেন এবং চুপ থাকলেন। এভাবে পরপর তিনবার প্রশ্ন করার পরও তিনি আমাকে কোনো উত্তর দিলেন না। জুমার নামায শেষ হওয়ার পর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে বার বার প্রশ্ন করার পরও কোনো উত্তর দিলেন না কেন? তখন উবাই রা. বললেন, (খুতবা চলাকালে প্রশ্ন করার কারণে) আপনি জুমার কোনো সওয়াব পাননি। আপনার অনর্থক কথা বলা হয়েছে। তখন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে উবাই রা.-এর এ কথা জানালাম। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উবাই ঠিকই বলেছে। ( সহীহ ইবনে খুযাইমা ২/৮৭৪, হাদীস : ১৮০৭) 

হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব ও যুহরী রাহ. বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে কোনো নামায পড়া যাবে না। আর খুতবা শুরু করলে কোনো কথা বলা যাবে না।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/১০৩-১০৪)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জুম'আর খুতবা চলাকালীন সময়ে মুসল্লীগণ চুপ থাকবেন। 
এ সময়ে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে দোয়া করা জায়েজ নেই।
বরং মনোযোগ সহকারে সকলের খুতবা শ্রবণ করতে হবে।

(০২)
আপনি মহল্লার মসজিদে নামাজ আদায় করবেন।
বাসায় এমতাবস্থায় নামাজ আদায় করার অনুমতি শরীয়তে নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...