আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,156 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
নিচের উল্লেখিত পান খাওয়ার বিধান টি কি সঠিক?
"জর্দ্দা খাওয়া হালাল।
জর্দা খাওয়া হারাম নয় । অতএব যারা জর্দা বিষয়ে
সন্দেহে আছেন তারা জেনে নিন ।
মূলত কোন একটি জিনিস হারাম করতে গেলে
কোরআন হাদীসে থাকতে হবে । কারন
আল্লাহ যে বিষয়টি হারাম করেননি সেটাকে হারাম
বলার অধিকার কেউ রাখে না । আল্লাহত জানত যে
জর্দা নামক একটি দ্রব্য তৈরি হবে পৃথিবীতে ।
তাহলে হারাম করেন নি কেন ? আর কোরআন
হাদীসের কোথাও জর্দা হারাম বলা নেই । এখন
আপনাকে করতে হবে মাযহাবের ইমামদের মত
কোরআনের আয়াতের উপর ইজতিহাদ ।অর্থ্যাৎ
কোরআন হাদীসের আয়াতের ভিতর থেকে
সিদ্ধান্ত বের করতে হবে । তার আগে প্রথমে
দেখতে হবে জর্দা জিনিসটি কি । আপনি বলছেন
জর্দা নেশা তৈরি করে আর প্রত্যেক নেশাকর
বস্তু হারাম । মূলত এটা ভুল যে জর্দাকে নেশার
সাথে সম্পৃক্ত করা । কারন নেশাকর বস্তুকে হারাম
করা হয়েছে এইজন্যে যে স্মৃতি বিস্মৃত ঘটে ।
ফলে অশ্লীল হারাম কাজও ঘটে ।। যেমন মদ
হারাম হবার আগে এক সাহাবি মদ খেয়ে নামায
পড়ছিল তখন স্মৃতি বিস্মৃত হয়ে নামায বহির্বুত কথা
মুখ দিয়ে বের হয় । আর পরেত মদকে হারামই
করে দেয়া হয় । আর তাই আল্লাহর রাসূল সা.
মদকে যাবতীয় অশ্লীল কাজের মূল বলে
আখ্যায়িত করেছেন ।এখন জর্দার দ্বারা কখনোই
স্মৃতি বিস্মৃত হয়না । তবে মুখে দুর্গন্ধ হয় । কাচা
পিয়াজও খেলে মুখে দুর্গন্ধ করে আর তাই কাচা
পিয়াজ খেয়ে মুখ পরিস্কার করে মসজিদে আসার
হুকুম ।এখন কেউ যদি জর্দা খেয়ে মুখ পরিস্কার
করে ফেলে তবে কোন অভিযোগ নেই ।
ফলে নেশাকর বস্তুর সাথে জর্দাকে সম্পৃক্ত
করা ভুল । এবার আসুন ক্ষতিকরতার দিক থেকে
বিশ্লেষন : মূলত জর্দা খেলে মৃত্যু ঘটে এমন
ঘটনা আজও ঘটেনি । এটা কেবল বিজ্ঞানিদের
অভিমত যে তামাক পাতা খাওয়া ক্ষতিকর । এখন
বিজ্ঞানিদের এই বিশ্লেষনের উপর ভিত্তি করে
যদি ফতোয়া দেয়া হয় যে জর্দা খাওয়া হারাম
তবেত গরুর মাংস খাসীর মাংস খাওয়াও হারাম । কারন
রেড মিটে মৃত্যু ঝুকি বাড়ায় এটা দুনিয়ার সকল
বিজ্ঞানিদের সিদ্ধান্ত । ফলে জর্দাকে হারাম বলার
সুযোগ এখানেও নেই । এবার আসুন জর্দা
খেলেত কোন লাভ নেই তার মানে এটা অপচয়
, আর অপচয় হারাম এর বিশ্লেষন : চিংড়ি মাছ
খাওয়াতে কোন লাভ নেই বরং চিংড়ি এলার্জিকারক ।
আর তাই একসময় চিংড়ি খাওয়া নিয়ে বিতর্ক ছিল ।
তবে শেষ পর্যন্ত রায় এটা যে চিংড়ি হালাল আর
আমরা খাচ্ছিও আজ অবধি । আমরা বাজারের যেই
বিস্কিট চিপস খেয়ে থাকি এগুলোতে কোন
লাভ নেই বরং Junk food মৃত্যুর ঝুকি বাড়ায় এবং
ডায়াবেটিসের কারন হয় । এখন কি বিস্কিক চিপস হারাম
বলবেন ? কতটুকু পর্যায়ে গেলে একটি বিষয়
হারাম হবে এর মাত্রা বুঝতে হবে । যাইহোক
জর্দা খাওয়া মোটেও হারাম নয় ।হ্যা সিগারেটের
ব্যাপার আলাদা । কারন সিগারেটের ধূয়া ছড়িয়ে
পড়ে এবং অধুমপায়িদের মারাক্তক কষ্ট হয় । আর
কাউকে বিনা কারনে কষ্ট দেয়া হারাম ।"

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
সমাধানঃ- 
পান জর্দা সম্পর্কে আপনি যা লিখেছেন।এসবের মূলকথাকে ফুকাহায়ে কেরামের মূলনীতির আলোকে আমি সংক্ষেপে আমি উপস্থাপন করছি..............
শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ খাওয়া হারাম।হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
 لا ضرر ولا ضرار
ইসলামে নিজেকে ক্ষতি পৌছানো নেই এবং অন্যকেও ক্ষতি পৌছানো যাবে না।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪০)

দুর্গন্ধযুক্ত জিনিষ আহার করা মাকরুহে তানযিহি।হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ সুকর বা নেশার অর্থ হচ্ছে এমন জিনিষ যা খেলে ব্রেইন আউট বা স্বৃথী শক্তিতে পরিবর্তন ঘটে।শারিরিক ক্ষতি হবে না সেই পরিমাণ পান চুন-জর্দা সহ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।তবে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা কতইনা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৮/৩৮০-৪০৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...