আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in সাওম (Fasting) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

১|  ধরুন, আমি কোন সোমবার বা বৃহস্পতিবার কোন ফরজ রোজার কাজা আদায় করলাম ; তখন আইয়ামে বীজের রোজা পরে গেল তাহলে কি আমি ফরজের কাজা, সোমবারের ও আইয়ামে বীজের রোজা তিনটিরই সওয়াব পাবো? এক রোজায় কি তিনটারি নিয়ত করা যাবে?

২|  আমি যদি ৫ ওয়াক্ত সালাতের ক্ষেত্রেই অজুর পর পরই ওয়াক্তের সালাত (যেমন ফজরের ২রাকাত সুন্নত, যোহরের ৪ রাকাত সুন্নত, আছরের ৪ রাকাত ফরজ, মাগরিবের ৩ রাকাত ফরজ, এশার ৪ রাকাত ফরজ নামাজ) পড়ার সময় ; তাহিয়্যাতুল অজুর সালাতের নিয়ত করি তাহলে কি এর পরিপূর্ণ সওয়াব পাবো?

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/3778 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত।

قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى المِنْبَرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»

আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরাত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরাত করেছে। (সহীহ বোখারী-১)

***ফজরের সময় হওয়ার পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত ফজরের সুন্নত ব্যতিত সব ধরনের নফল নামাজ পড়া মাকরূহ। চাই তা ঘরে পড়া হোক কিংবা মসজিদে। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর তাহিয়াতুল অজু বা দুখুলুল মসজিদ পড়বে না। তবে ফজরে সুন্নতের সাথে তাহিয়াতুল অজু ও দুখুলুল মসজিদ নামাযের নিয়ত করে নিলে তার সাওয়াব পেয়ে যাবে৷ এবং জামাতের সময় হওয়া পর্যন্ত বাকি সময় তাসবীহ-তাহলীল, দরূদ শরীফ ইত্যাদি পড়বে। (সুনানে আবু দাউদ ১/১৮১; ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪)

عن عقبة بن عامر الجهني رضي الله عنه قال: ثلاث ساعات كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهانا أن نصلي فيهن أو أن نقبر فيهن موتانا: حين تطلع الشمس بازغة حتى ترتفع، وحين يقوم قائم الظهيرة حتى تميل الشمس، وحين تضيف الشمس للغروب حتى تغرب” .

তবে কোনো ব্যক্তি যদি জোহরের সুন্নতের সঙ্গে তাহিয়্যাতুল অজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়ত করে নেয় তাহলে একই সঙ্গে সুন্নত, তাহিয়্যাতুল অজু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ সবগুলো আদায় হয়ে যাবে। অনুরূপ যেসব নামাজের আগে সুন্নত নেই সেসব নামাজে যদি ফরজের সঙ্গে এই দুই ধরনের নামাজেরও নিয়ত করে নেয় আদায় হয়ে যাবে। (মুসলিম-৮৩১, নাসায়ী-৫৬৪

 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. নফল রোজার ক্ষেত্রে নিয়ত শুধুমাত্র একটিরই করতে হবে। এক সাথে একাধিক নিয়তে কোনো রোজা রাখা যাবে না। যেমন: আইয়্যামের বীজের রোযা আরবী মাসের যেকোনো তারিখে রাখা যায়, এক্ষেত্রে কোনো দিন তারিখ নির্দিষ্ট নয়। বরং যে কোনো সময় রাখা যাবে। হ্যা ১৩,১৪,১৫ তারিখে রোযা রাখা উত্তম। যদি কেউ এই ১৩,১৪,১৫ তারিখে শাওয়ালের রোযা রাখে এবং সে প্রত্যেক মাসে আইয়্যামে বীযের রোযা রেখে থাকে, তাহলে সে শাওয়ালের সাথে সাথে আইয়্যামে বীযের রোযারও ফযিলত পাবে। এবং তা যদি হয় সোমবার বা বৃহস্পতিবার তাহলে সেই দিনেরও ফযিলত পাবে।

২. যেই ওয়াক্তগুলিতে (যোহর, আসর এবং এশা) তাহিয়্যাতুল অজু পড়ার সময় থাকবে সেক্ষেত্রে পৃথক ভাবে পড়ে নেওয়াই উত্তম। তবে ফজর ও মাগরীবের নামাজে সুন্নাত ও ফরজ আদায় করলে তাহিয়্যাতুল অজুরও সাওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 124 views
...