بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/3778
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা
হয়েছে যে,
আলক্বামাহ
ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত।
قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ
سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ
الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى المِنْبَرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الأَعْمَالُ
بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ
إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى
مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»
আমি ‘উমার
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ
তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে
বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরাত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে,
সে হিজরাত করেছে। (সহীহ বোখারী-১)
***ফজরের সময় হওয়ার পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত ফজরের সুন্নত ব্যতিত সব ধরনের
নফল নামাজ পড়া মাকরূহ। চাই তা ঘরে পড়া হোক কিংবা মসজিদে। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার
পর তাহিয়াতুল অজু বা দুখুলুল মসজিদ পড়বে না। তবে ফজরে সুন্নতের সাথে তাহিয়াতুল অজু
ও দুখুলুল মসজিদ নামাযের নিয়ত করে নিলে তার সাওয়াব পেয়ে যাবে৷ এবং জামাতের সময়
হওয়া পর্যন্ত বাকি সময় তাসবীহ-তাহলীল, দরূদ শরীফ ইত্যাদি পড়বে।
(সুনানে আবু দাউদ ১/১৮১; ফাতহুল কাদীর ১/২৪০;
রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪)
عن عقبة بن عامر الجهني رضي الله عنه قال: ثلاث ساعات كان رسول الله صلى
الله عليه وسلم ينهانا أن نصلي فيهن أو أن نقبر فيهن موتانا: حين تطلع الشمس بازغة
حتى ترتفع، وحين يقوم قائم الظهيرة حتى تميل الشمس، وحين تضيف الشمس للغروب حتى
تغرب” .
তবে কোনো
ব্যক্তি যদি জোহরের সুন্নতের সঙ্গে তাহিয়্যাতুল অজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়ত করে
নেয় তাহলে একই সঙ্গে সুন্নত, তাহিয়্যাতুল অজু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ সবগুলো আদায় হয়ে যাবে। অনুরূপ যেসব নামাজের আগে সুন্নত নেই
সেসব নামাজে যদি ফরজের সঙ্গে এই দুই ধরনের নামাজেরও নিয়ত করে নেয় আদায় হয়ে যাবে। (মুসলিম-৮৩১,
নাসায়ী-৫৬৪
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. নফল
রোজার ক্ষেত্রে নিয়ত শুধুমাত্র একটিরই করতে হবে। এক সাথে একাধিক নিয়তে কোনো রোজা রাখা যাবে
না। যেমন: আইয়্যামের বীজের রোযা আরবী মাসের যেকোনো তারিখে রাখা
যায়, এক্ষেত্রে কোনো দিন তারিখ নির্দিষ্ট নয়। বরং যে কোনো সময়
রাখা যাবে। হ্যা ১৩,১৪,১৫ তারিখে রোযা রাখা
উত্তম। যদি কেউ এই ১৩,১৪,১৫ তারিখে শাওয়ালের
রোযা রাখে এবং সে প্রত্যেক মাসে আইয়্যামে বীযের রোযা রেখে থাকে, তাহলে সে শাওয়ালের সাথে সাথে আইয়্যামে বীযের রোযারও ফযিলত পাবে। এবং তা যদি
হয় সোমবার বা বৃহস্পতিবার তাহলে সেই দিনেরও ফযিলত পাবে।
২. যেই
ওয়াক্তগুলিতে (যোহর, আসর এবং এশা) তাহিয়্যাতুল অজু পড়ার সময় থাকবে সেক্ষেত্রে পৃথক
ভাবে পড়ে নেওয়াই উত্তম। তবে ফজর ও মাগরীবের নামাজে সুন্নাত ও ফরজ আদায় করলে
তাহিয়্যাতুল অজুরও সাওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।