আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
139 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
শায়খ
আমি ফজরের সুন্নত নামাযের নিয়ত করে নামাজে দাড়াই কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেটা পুরা করতে পারি না। পরে শুধু ফজরের ফরয নামায আদায় করে নিই। এক্ষেত্রে কি আমার ফজরের সুন্নত নামাযের কাযা করতে হবে? আমি যেহেতু নিয়ত করে ফেলেছিলাম। নাকি আর সেটা আদায় না করলেও চলবে।

JajakAllahu Khairan.

1 Answer

+1 vote
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/5795/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

উল্লেখিত মাসয়ালার ক্ষেত্রে ইমামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।

 اتفق الحنفية والمالكية على أنه يجب القضاء على من قطع نافلة بعد أن شرع بها عامداً ولا ناسياً دون عذر يمنع إتمامها، أما لو قطعها ناسياً أو كان ثمة عذر يمنع إتمامها فقطعها لأجله فيجب عليه قضاؤها عند الحنفية، ولا يجب القضاء عند المالكية

যার সারমর্ম হলো যদি  নফল ইবাদত শুরু করার পর   ইচ্ছাপূর্বক ভাবে সেটা নষ্ট করে দেয়,তাহলে ইমাম মালেক,আবু হানিফা রহঃ এর মতে তার জিম্মাম উক্ত নফল আদায় ওয়াজিব,,,,

يجب القضاء على من قطع النفل – عند الحنفية – سواء أفسده باختياره أو بغير اختياره بأن شرع في صلاة النفل بالتيمم ناسياً الماء في رحله ثم وجده كأن تذكره خلال الصلاة، أو شرع في صوم النفل فصب الماء في حلقه في النوم وجب عليه القضاء وإن لم يوجد منه الإفساد

আবু হানিফা রহঃ এর মাযহাবের বিস্তারিত হলো নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক হোক আর অনিচ্ছায় তাহা নষ্ট করার দ্বারা সেটা আবার আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

এটি নামাজ রোযা সব ক্ষেত্রেই,,,,,

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]

তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]

হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।

قال الحصکفی : (والشارع فی نفل لا یقطع مطلقا) ویتمہ رکعتین (وکذا سنة الظہر) ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۳/۲، باب ادراک الفریضة ، ط: دار الفکر، بیروت )

নফল নামাজ শুরু করলে সেটা পূর্ণ করবে,,,

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধুমাত্র নফল নামাজ,সদকাহ করার নিয়ত,নফল রোযার নিয়ত করলেই তা আদায় করা ওয়াজিব হবেনা। বরং উক্ত নফল নামাজ বা রোযা আদায় করা শুরু করে দিতে হবে। তারপর পতিমধ্যে ভেঙ্গে দিলে,বা ভেঙ্গে গেলে সেটা আদায় করা ওয়াজিব হবে।

  প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে উক্ত সুন্নাতের কাযা আদায় করতে হবে। সাধারণত সুন্নাতের কাযা নেই। কিন্তু কোন নফল বা সুন্নাত নামাজ শুরু করার পর তা ভেঙ্গে দিলে উহার কাযা আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 120 views
0 votes
1 answer 99 views
...