আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in পবিত্রতা (Purity) by (62 points)
আসসালামু আলাইকুম।

এক বোনের মায়ের বয়স ৪৬। এই অবস্থায় তার প্রায় বেশ অনেক মাস ধরেই অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে। কখনো এক মাসে দুই বার, কখনো হচ্ছেই না৷ আবার কখনো এক মাসে একটু একদিন ব্লিডিং দেখা যায় আর দেখা যায় না। যেমন জুলাইয়ের ৭তারিখ উনার পিরিয়ড হয়েছিলো, আবার সুস্থ হয়ে জুলাইয়ের ২২ তারিখ আবার পিরিয়ড হোন। অগাস্টে আর কোনো পিরিয়ড হয় নি। ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে উনার ব্লাড দেখা যায়। উনি পিরিয়ড ভেবে স্বলাত অফ করে দেন। পরে আসরের পর থেকে নিয়ে ইশা পর্যন্ত কোনো ব্লিডিং দেখা যায় না। আবার ৮ তারিখ আবার একটু ব্লাড দেখা যায়। আর সারাদিন দেখা যায় না। এক্ষেত্রে উনার করনীয় কি? উনি ডাক্তার দেখিয়ে ট্রিটমেন্টও নিয়েছেন। হচ্ছে না কিছুতেই। যেহেতু এখন মেনোপজের সময় এরকম হওয়াটাই স্বাভাবিক হয়তো৷ কিন্তু তার স্বলাতের বিধান কি? এটা কি পিরিয়ড ধরে নিবে? আর মাসে দুবার পিরিয়ড হলো। ত্বহুরের ১৫ দিন পার হওয়ার আগেই, তখন ভালোই ব্লিডিং হয়। এক্ষেত্রে তার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
এক হায়েয থেকে নিয়ে অন্য হায়েয পর্যন্ত ১৫ দিন গ্যাপ থাকতে হয়। সুতরাং এক হায়েযের পর ১৫ দিন পর্যন্ত  রক্তস্রাব দেখা গেলেও সেটাকে ইস্তেহাযা ধরে নেয়া হবে।তারপর ১৫ দিনের পর থেকে আবার হায়েয ধরে নেয়া হবে।এভাবেই তিনি হায়েয ও ইস্তেহাযা গণ্য করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...