বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় বলেন,
(قوله وهي ركعتان) في القهستاني وركعتان أو أربع، وهي أفضل لتحية المسجد إلا إذا دخل فيه بعد الفجر أو العصر، فإنه يسبح ويهلل ويصلي على النبي - صلى الله عليه وسلم - فإنه حينئذ يؤدي حق المسجد كما إذا دخل للمكتوبة فإنه غير مأمور بها حينئذ كما في التمرتاشي. اهـ.
তাহিয়্যাতুল মসজিদের দুই বা চার রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।তবে যদি কেউ মসজিদে ফজর এবং আছরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর প্রবেশ করে, তাহলে তার জন্য তখন তাহিয়্যাতুল ওজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু'রাকাত করে নামায পড়ার নিয়ম নেই। বরং তখন মাকরুহ হবে। সে কি করবে? বলা যায় যে,সে তাসবীহ, তাহলীল,এবং নবীর উপর দুরূদ পাঠ করবে। তখন মসজিদের হক্ব আদায় হয়ে যাবে। ঠিক তেমনি কেউ ফরয নামায আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে, তখন তার জন্যও তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া অত্যাবশ্যকীয় নয়। কেননা ফরয নামাযের সাথে তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায আদায় হয়ে যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1330
(২)
বিসমিল্লাহ বা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
যেকোনো একটিকে খাবারের শুরুতে বলা যাবে।হাদীসে শুধুমাত্র বিসমিল্লাহ্ শব্দের উল্লেখ রয়েছে।হ্যা, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম তথা পরিপূর্ণ বিসমিল্লাহ্ বলতেও কোনো বাধা নেই।
لما في الموسوعة الفقهية الكويتية- ج٨: ص:٩٢
ذَهَبَ الْفُقَهَاءُ إِلَى أَنَّ التَّسْمِيَةَ عِنْدَ الْبَدْءِ فِي الأَْكْل مِنَ السُّنَنِ. وَصِيغَتُهَا: بِسْمِ اللَّهِ وَبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، فَإِنْ نَسِيَهَا فِي أَوَّلِهِ سَمَّى فِي بَاقِيهِ، وَيَقُول: بِاسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ لِحَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: إِذَا أَكَل أَحَدُكُمْ فَلْيَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ تَعَالَى، فَإِنْ نَسِيَ أَنْ يَذْكُرَ اسْمَ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُل: بِاسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ.
(৩) ফাযাইলে আ'মল কিতাবখানা পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
(৪) তাবলীগ জামাতে যাওয়া যাবে।