ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গোনাহ থেকে পরিত্যাগ একমাত্র আল্লাহর হুকুমের দিকে লক্ষ্য করেই হতে হবে। অর্থাৎ আল্লাহ এটাকে গোনাহ বলেছেন, আল্লাহ এই কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন, তাই এই কাজ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। এই মনোভাবের সাথে গোনাহকে পরিত্যাগ করতে হবে। ফিরিশতার মধ্যে গোনাহ করার যোগ্যতা নেই, বরং শুধুমাত্র নেকি করার যোগ্যতাই রয়েছে, এই জন্য ফিরিশতা থেকে মানুষ উত্তম কেননা, মানুষের মধ্যে গোনাহ করার যোগ্যতা থাকারও মানুষ গোনাহ থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করে থাকে।
হ্যা, আল্লাহর হুকুমকে আদতে পরিণত করা ভালো গুণ।তবে এর জন্য মন্দকে অস্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। বরং ভালো জিনিষকে ভালোর দ্বারা বা প্রথম থেকে অভ্যাস করে নিতে হবে।
মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
عن معاوية بن أبي سفيان رضي الله عنهما: «الخير عادة والشر لجاجة». أخرجه ابن ماجه
তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ভালত্ব একটি অভ্যাস, মন্দ হলো (পাপের কাজে) অটল থাকা। মহান আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন।”(সুনানু ইবনি মা'জা-৩১০)
সালিম ইবনু আবুল জা’দ (রহঃ) সুত্রে বর্ণিত।
عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ - قَالَ مِسْعَرٌ أُرَاهُ مِنْ خُزَاعَةَ - لَيْتَنِي صَلَّيْتُ فَاسْتَرَحْتُ فَكَأَنَّهُمْ عَابُوا عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَا بِلاَلُ أَقِمِ الصَّلاَةَ أَرِحْنَا بِهَا " .
তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি বলেন, মিস’আর বলেছেন, আমার ধারণা, সে ব্যাক্তি খুযা’আ গোত্রীয়, যদি আমি সালাত পড়াতাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম। উপস্থিত লোকজন নারাজ হলো। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল! সালাত কায়িম করো। আমরা এর মাধ্যমে স্বস্তি লাভ করতে পারবো।(আবু দাউদ-৪৯৮৫)