আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (30 points)
আসসালামু ওলাইকুম

একজন নিয়মিত  গান শুনে।সে তওবা করল যে আর গান শুনবে না।কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর গান শুনার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় সে আবারো গান শুনা শুরু করে দিল।তার আবারো তওবা করার ইচ্ছা জাগল।তাই এবার  সে দিন রাত একই গান বারবার শুনা শুরু করল যাতে সে গানের প্রতি বিরক্ত বোধ করে।কিছুদিন পর সে তওবা করে নিল।এবার তার আর গান শুনা হয় না, তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও নেই।উপরিউক্ত যে উপায়ে সে গুনাহ থেকে বাচঁল,সে কি অন্যদেরকে উপরের উপায়ে গুনাহ থেকে বাচার পরামর্শ দিতে পারে?

জাযাকুমুল্লাহ খাইর

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গোনাহ থেকে পরিত্যাগ একমাত্র আল্লাহর হুকুমের দিকে লক্ষ্য করেই হতে হবে। অর্থাৎ আল্লাহ এটাকে গোনাহ বলেছেন, আল্লাহ এই কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন, তাই এই কাজ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। এই মনোভাবের সাথে গোনাহকে পরিত্যাগ করতে হবে। ফিরিশতার মধ্যে গোনাহ করার যোগ্যতা নেই, বরং শুধুমাত্র নেকি করার যোগ্যতাই রয়েছে, এই জন্য ফিরিশতা থেকে মানুষ উত্তম কেননা, মানুষের মধ্যে গোনাহ করার যোগ্যতা থাকারও মানুষ গোনাহ থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করে থাকে।

হ্যা, আল্লাহর হুকুমকে আদতে পরিণত করা ভালো গুণ।তবে এর জন্য মন্দকে অস্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। বরং ভালো জিনিষকে ভালোর দ্বারা বা প্রথম থেকে অভ্যাস করে নিতে হবে।
মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
عن معاوية بن أبي سفيان رضي الله عنهما: «الخير عادة والشر لجاجة». أخرجه ابن ماجه
 তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ভালত্ব একটি অভ্যাস, মন্দ হলো (পাপের কাজে) অটল থাকা। মহান আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের বুঝ দান করেন।”(সুনানু ইবনি মা'জা-৩১০)

সালিম ইবনু আবুল জা’দ (রহঃ) সুত্রে বর্ণিত।
عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ - قَالَ مِسْعَرٌ أُرَاهُ مِنْ خُزَاعَةَ - لَيْتَنِي صَلَّيْتُ فَاسْتَرَحْتُ فَكَأَنَّهُمْ عَابُوا عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَا بِلاَلُ أَقِمِ الصَّلاَةَ أَرِحْنَا بِهَا " .
 তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি বলেন, মিস’আর বলেছেন, আমার ধারণা, সে ব্যাক্তি খুযা’আ গোত্রীয়, যদি আমি সালাত পড়াতাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম। উপস্থিত লোকজন নারাজ হলো। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল! সালাত কায়িম করো। আমরা এর মাধ্যমে স্বস্তি লাভ করতে পারবো।(আবু দাউদ-৪৯৮৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...