বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার উল্লেখকৃত নিম্নোক্ত হাদীসটি ইমাম যাহাবী “আল-কাবাইর কিতাবে বর্ণনা করেন।তবে হাদীসের নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে উক্ত হাদীসকে আমরা খুজে পাইনি।এবং ইমাম যাহবী হাদীসের কোনো সনদ উল্লেখ করেন নি। সনদ উল্লেখ না থাকলে মুহাদ্দিসগণ হাদীসকে জাল বা মাওযু তথা বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
فصل في المحافظة على الصلوات والتهاون بها:
وقد ورد في الحديث: " إن من حافظ على الصلوات المكتوبة أكرمه الله تعالى بخمس كرامات يرفع عنه ضيق العيش وعذاب القبر ويعطيه كتابه بيمينه ويمر على الصراط كالبرق الخاطف ويدخل الجنة بغير حساب " .
ومن تهاون بها عاقبه الله بخمس عشرة عقوبة خمس في الدنيا وثلاث عند الموت وثلاث في القبر وثلاث عند خروجه من القبر فأما اللاتي في الدنيا فالأولى ينزع البركة من عمره والثانية يمحي سيماء الصالحين من وجهه والثالثة كل عمل يعمله لا يأجره الله عليه والرابعة لا يرفع له دعاء إلى السماء والخامسة ليس له حظ في دعاء الصالحين وأما اللاتي تصيبه عند الموت فإنه يموت ذليلاً والثانية يموت جائعاً والثالثة يموت عطشاناً ولو سقي بحار الدنيا ما روي من عطشه وأما اللاتي تصيبه في قبره فالأولى يضيق عليه قبره حتى تختلف فيه أضلاعه والثانية يوقد عليه القبر ناراً يتقلب على الجمر ليلاً ونهاراً والثالثة يسلط عليه في قبره ثعبان اسمه الشجاع الأقرع
اللاتي تصيبه عند خروجه من قبره في موقف القيامة فشدة الحساب وسخط الرب ودخول النار .
রাসূল(সা:)বলেছেন,
যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামায ঠিক মতো আদায় করবে,আল্লাহ তাকে পাঁচটি পুরস্কারে সম্মানিত করবেন।
- ১.তার অভাব দূর করবেন।
- ২.কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেবেন,
- ৩.ডান হাতে আমলনামা দেবেন।
- ৪.বিজলীর ন্যায় পুলসিরাত পার করবেন। ও
- ৫.বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
আর যে ব্যক্তি নামাযে অবহেলা করবে আল্লাহ তাকে চৌদ্দটি শাস্তি দেবেন। দুনিয়াতে পাঁচটি,মৃত্যুর সময় তিনটি,কবরে তিনটি. কবর থেকে উঠানোর সময় তিনটি।
- ১.তার হায়াত থেকে বরকত কমে যাবে।
- ২.চেহারা থেকে নেকারের নিদর্শন লোপ পাবে।
- ৩.তার কোনো নেক আমলের প্রতিদান দেয়া হবে না।
- ৪.তার কোন দুয়া কবুল হবেনা।
- ৫.নেককারের দুয়া থেকে সে বন্চিত হবে।
- ১.সে অপমানিত হয়ে মারা যাবে।
- ২.অনাহারে মারা যাবে।
- ৩.এমন পিপাসার্ত হয়ে মারা যাবে যে, তাকে পৃথিবীর সব সমুদ্রের পানি পান করালেও তার পিপাসা যাবে না।
- ১.কবর সংকীর্ণ হয়ে এতে জোরে চাপ দেবে যে তার পাঁজরের এক দিকের হাড় অন্যদিকে ঢুকে যাবে।
- ২.কবরে আগুন ভর্তি করে রাখা হবে। আগুনের জ্বলন্ত কয়লায় সে রাত দিন জ্বলতে থাকবে।
- ৩.তার কবরে এমন ভয়ংকর বিষধর সাপ রাখা হবে,যা তাকে কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে
- কবর থেকে উত্তোলনের সময় তিনটি
- হিসাব কঠিন হবে।
- আল্লাহ নারাজ থাকবেন
- জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
নামায আদায় করলে পুরুস্কার এবং আদায় না করলে শাস্তির কথা কুরআনে বর্ণিত রয়েছে।সুতরাং ফযিলত বা শাস্তির ক্ষেত্রে এ সমস্ত আয়াত ও হাদীস সমূহের উপর নির্ভর করাই উচিৎ
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে
والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।
أُوْلَـئِكَ عَلَى هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।(সূরা বাকারা৩-৪-৫)
فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।(সূরা মারয়াম-৫৯)
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلاةِ قَامُوا كُسَالَى يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا
অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।(সূরা নিসা-১৪২)
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।(সূরা নিসা-১৪৫)