আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১/আমি যদি উমরি কাজা আদায় করি তাহলে ফজরের ৪রাকাত(২সুন্নত আর ২রাকাত ফরজ)এভাবে কি আদায় করব,আর আমিক কি সব গুলো ফজরের সালাত প্রতিদিন ৫-৬ ওয়াক্ত(কাজা) আদায় করতে পারবো /এভাবে সব ফজর গুলো আদায় করে তারপর জোহর সবগুলো ,আসর......,বিতর এইভাবে উমরি কাজা আদায় করতে পারব।

২/আ্মার এক রমাদনে রোজার প্রতি অনেক অভহেলা ছিল ।রোজা রাখতাম কিন্তু ঠিক মত নামাজ পরতাম না ।এখন ওই রোজ গুলো কি কাজা আদায় করব.১৫ টা করছিও ।

৩/সকাল ৮-৪.৩০ পর্যন্ত ক্লাস মাজখানে যে একটু সময় পাইতাম ফরজ আর সুন্নত পরতে পারতাম এভবে ৬-৭ জোহরের সলাত আদায় করছি ।এভবে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ছাড়ার কারনে কি গুনাহ হয়েছে ।
by (5 points)
৬-৭ মাস এইভাবে জোহরের সলাত আদায় করছি হবে।

1 Answer

0 votes
by (735,240 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কা'যা নামাযের কোনো স্থান বা কাল নেই। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যেকোনো নামাযকে কা'যা করা যাবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1604

সুন্নতের কোনো কা'যা নেই।তবে ফজরের সুন্নত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সুন্নতে না পড়লে সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত নফল নামায পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ফজরের সুন্নত পড়তে পারবে না,সে যেন সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত সুন্নত পড়ে নেয়।(সুনানু তিরমিযি-৪২৩)(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৪৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/968

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি জীবনে ছুটে যাওয়া ফজরের নামাযকে শুধুমাত্র কাযা করতে পারবেন। তারপর জোহর এবং আছর ইত্যাদি নামাযকে কাযা করতে পারবেন। আবার একদিন একদিন করে দিন রাতের সর্বোমোট ৬ ওয়াক্ত নামায(বিতির সহ) কাযা করতে পারবেন।

(২)
রোযার কাযা লাগবে না তবে নামাযকে কাযা করতে হবে।

(৩)
জ্বী, সুন্নতে মু'আক্কাদা ছাড়ার গোনাহ হবে।তবে যেহেতু মনের মধ্যে পড়ার নিয়ত ছিল, তাই গোনাহের পরিমাণটা কম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (735,240 points)
সংযোজন ও সয়শোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 143 views
0 votes
1 answer 96 views
...