বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কা'যা নামাযের কোনো স্থান বা কাল নেই। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যেকোনো নামাযকে কা'যা করা যাবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1604
সুন্নতের কোনো কা'যা নেই।তবে ফজরের সুন্নত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সুন্নতে না পড়লে সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত নফল নামায পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ফজরের সুন্নত পড়তে পারবে না,সে যেন সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত সুন্নত পড়ে নেয়।(সুনানু তিরমিযি-৪২৩)(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৪৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/968
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি জীবনে ছুটে যাওয়া ফজরের নামাযকে শুধুমাত্র কাযা করতে পারবেন। তারপর জোহর এবং আছর ইত্যাদি নামাযকে কাযা করতে পারবেন। আবার একদিন একদিন করে দিন রাতের সর্বোমোট ৬ ওয়াক্ত নামায(বিতির সহ) কাযা করতে পারবেন।
(২)
রোযার কাযা লাগবে না তবে নামাযকে কাযা করতে হবে।
(৩)
জ্বী, সুন্নতে মু'আক্কাদা ছাড়ার গোনাহ হবে।তবে যেহেতু মনের মধ্যে পড়ার নিয়ত ছিল, তাই গোনাহের পরিমাণটা কম হবে।