ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১) মানুষকে
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তালকীন করানোর বিষয়ে পাওয়া যায়। তালকীন হলো মৃত্যু শয্যায় শায়িত ব্যক্তির পাশে বসে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ পাঠ করা।
কারণ, মুয়ায বিন জাবাল
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন:
« مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ
الْجَنَّةَ »
“যার শেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে
জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সুনান আবু দাউদ
হযরত আবু হুরায়রা
(রাঃ) হতে বর্নিত, হযরত (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত্যু পথযাত্রীকে (মৃত্যুর পুর্ব
মূহুর্তে) কালিমার তালকীন দান কর৷ কেননা মৃত্যুর সময় যার শেষ কথা হবে [লা-ইলাহা
ইল্লাল্লাহ] সে জান্নাতে প্রবেশ করবে৷ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২১৬২
তাওবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://ifatwa.info/5905/
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি তার হুশ থাকে
এবং আপনি বললে সেও বুঝবে ও আপনার সাথে বলবে তাহলে আপনি তাকে তওবা পড়াতে পারেন।
অন্যথায় তার পাশে বসে বসে কালিমার তালকীন করালেই হবে ইনশাআল্লাহ।
(২)
https://ifatwa.info/35437/?show=35437#q35437 নং ফাতাওয়ায়
উল্লেখ রয়েছে যে,
সমস্ত কুরআনে
কারীম-ই মু'মিনের জন্য হেদায়ত, শে'ফা ও রহমত
স্বরূপ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন-
ﻭَﻧُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ
ﺷِﻔَﺎﺀ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔٌ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ الخ
আমি কোরআনে এমন
বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। (সূরা বনী ইসরাঈল-৮২)
ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻫُﺪًﻯ
ﻭَﺷِﻔَﺎﺀٌ
বলুন, এটা বিশ্বাসীদের
জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার। (সূরা হা-মীম সেজদা-৪৪)
আয়াতে শেফা
হিসেবে সুরা ফাতেহা অন্যতম।
এর পরে উলামায়ে
কেরামগন ৬ টি আয়াতের কথা উল্লেখ করেছেনঃ
: قوله
تعالى: قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ
وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ {التوبة:14}.
. قوله
تعالى: يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ
وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ {يونس:57}.
. قوله
تعالى: ثُمَّ كُلِي مِنْ كُلِّ
الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ
مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً
لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ {النحل:69}.
. قوله
تعالى: وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا
هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا
خَسَارًا {الإسراء:82}.
. قوله
تعالى: وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي
وَيَسْقِينِ * وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ {الشعراء:79-80}.
. قوله
تعالى: وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ
آيَاتُهُ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ
وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى
أُولَئِكَ يُنَادَوْنَ مِنْ مَكَانٍ بَعِيدٍ {فصلت:44}.
দরুদে শিফা যেই
দরুদ প্রচলিত রয়েছে তাহা হলোঃ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا
وَمَوْلۤانَا مُحَمَّدٍ طِبِّ الْقُلُوْبِ وَدَوَائِهَا وَعَافِيَةِ الأَبْدَانِ
وَشِفَائِهَا وَنُوْرِ الاَبْصَارِ وَضِيَائِهَا وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ
وَسَلِّمْ
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
এই দরুদ কুরআন
হাদীসে নেই। কোনো বুযুর্গানে দ্বীনের আমল হতে পারে। তাই আবশ্যকীয় মনে না করে,সুন্নাহ মনে না
করে আমল করা যেতে পারে। তদুপরি কুরআনে বর্ণিত আয়াত গুলো পড়ারই পরামর্শ থাকবে।