আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কোনো মজলিসে ৪/৫ জন মুসলিম আর ১ জন অমুসলিম উপস্থিত থাকলেন। এক্ষেত্রে উক্ত মজলিসে কি সালাম দেওয়া যাবে?

কেননা আমরা তো জানি, সালাম শুধু মুসলিমদের জন্য অমুসলিমদের এই সালাম দেওয়া যায়না। এক্ষেত্রে মজলিসে করণীয় কি? কারণ এখানে মুসলিমরাও উপস্তিত। সালাম না দিলে মুসলিমদের ও দেওয়া হবেনা।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

মুসলমান পরস্পরকে সালাম দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে তার উপরে শান্তি বর্ষণের দোয়া করে। সালাম এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহর মধ্যে ওরাহমাতুল্লাহ বলে আল্লাহ তায়ালার দয়া ও করুণার আশা করা হচ্ছে।

অমুসলিম তো আল্লাহর উপরই সঠিক বিশ্বাস রাখে না। তাই তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা অর্থহীন ও বোকামি। তাই সালাম শুধু এক মুসলমান অপর মুসলমানকেই দিতে পারবে। অমুসলমান কোন ভাইকে দিতে পারবে না।

রাসূলুল্লাহ বলেছেন, لا تبدءوا اليهود ولا النصارى بالسلامতোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)

যদি কোন অমুসলিম আগে সালাম দেয়, তাহলে তার জবাবে ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে। রাসূলুল্লাহ বলেন, ﺇﺫﺍ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﻭﻋﻠﻴﻜﻢআহলে কিতাবগণ তোমাদের সালাম দিলে, তার উত্তরে তোমরা শুধু ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে।’ (বুখারি ৬২৫৮ মুসলিম ২১৬৭)

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়াহুদি-খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য করো। [মুসলিম ২১৬৭, তিরমিযি ২৭০০, আবু দাউদ ১৪৯, আহমদ ৭৫১৩,৭৫৬২, ৮৩৫৬, ৯৪৩৩, ৯৬০৩, ১০৪৪১৮]

তবে শিষ্টাচারমূলক সম্ভাষণ করা যাবে। কোনো অমুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করলে সৌজন্য প্রদর্শনস্বরূপ ‘আদাব, গুড মর্নিং, গুড ইভিনিং অথবা এই জাতীয় যেকোনো শব্দ বলা যাবে। এবং হাতের দ্বারা ইশারা করেও কুশল বিনিময় করা যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া)।

তবে কোনভাবেই তাকে ‘নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। (রহীমীয়া ৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)

 কেননা, নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। নমষ্কার করার অর্থ আমি আপনার প্রতি মাথা ঝুঁকালাম। আপনি কবুল করুন। অনুরূপভাবে নমস্তে বলার অর্থ আমি আপনার প্রতি মাথা ঝুঁকালাম। এমনই ভাবে কারো প্রতি সম্মানার্থে মাথা কিংবা পিঠ ঝুঁকানো যাবে না। [যাদুল মাআদ ২/৩৮৮; মাজমূআ ফাতাওয়া উছায়মীন ৩/৩৩; আল-মওসূআতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৫/১৬৮]

সুতরাং এরকম শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৫৪)

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:https://ifatwa.info/4803/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী উক্ত মজলিসে অধিকাংশ মানুষ মুসলমান হওয়ার কারণে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেওয়া জায়েয আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...