আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
482 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ, উস্তায।

আমার এক বোন। তার এব্যারসন হয়েছে ৫১ দিন হলো। প্রথম বার এ্যাবরসন হওয়ার পর ক্লিয়ার না হওয়ায় ২য় বার অপারেশন করানো লাগছে ২য় বার এব্যারসন করাইছে ১৯ দিন হলো। অর্থাৎ ১ম বার এ্যাবরসন হওয়ার ৩২ দিন পর ২য় বার অপারেশন করা লাগছে। ১ম বার এ্যাবরসন হওয়ার পর সালাত ছেড়ে দিছিলো এরপর ২য় বার অপারেশন করানোর পর ৭ দিন সালাত পড়েনি এরপর থেকে সালাত শুরু করেছে কিন্তু কিছুদিন বাদ থেকে আবার ব্লাড দেখা যাচ্ছে।
১.এটা কি নিফাস হিসেবে গণ্য করা হবে যেহেতু ২য় বার এব্যারসন করানোর পর ৪০ দিনের মধ্যে ই ব্লাড দেখা যাচ্ছে!? এখন কি সে সালাত বাদ দিবে!?
২.আর ১ম বার এ্যাবরসন হওয়ার পর ৩২ দিন সালাত বাদ দিছিলো এটা কি করা ঠিক ছিলো!?
by (648,600 points)
এ্যবরশন দুইবার কেন হল? কিজন্য দুইবার এ্যবরশন করা হয়েছে।
by
উস্তায, প্রথম বার এব্যারসন হওয়ার পর ক্লিয়ার হয়নি থেকে গেছিলো এরপর হসপিটালে নিয়ে ওয়াশ করানো লাগছে। 
by (648,600 points)
এ্যবরশন বলতে কি গর্ভপাত ঘটানো হয়েছিল? কতমাসের সন্তানের এ্যবরশন করা হয়েছিলো?
by
জ্বি উস্তায, গর্ভপাত প্রথমবার একাই হয়ে গেছিলো কিন্তু পুরোপুরি পড়ে যায়নি কিছু অংশ থেকে গেছিলো এজন্য এর পরে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করে বাকি অংশ  বের করা লাগছে। তিন মাসের সন্তান।
by (648,600 points)
যেহেতু তিন মাসের আগেই গর্ভপাত হয়েছে। তাই নিফাস হবে না। হ্যা, চার মাসের পর হলে নেফাস হিসেবে গণ্য হবে। 

1 Answer

0 votes
by (648,600 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

প্রথমে আলোচনা করে নেই যে, আপনি মূলত কি জন্য গর্ভপাত করেছিলেন? সেটা কি শরীয়ত অনুমোদিত ছিল? প্রশ্নে আপনি কারণ উল্লেখ করেননি।

যে সকল কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ এবং ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাতের অনুমোদন ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।এ সব কারণের একটি হল,অযাচিত গর্ভ।তথা একটি দুধের শিশু থাকাবস্থায় আবার গর্ভে সন্তান চলে আসা।বা পূর্বে সন্তানাদি ছোট্ট থাকাবস্থায় নবশিশুর লালনপালন বাধাগ্রস্ত হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা থাকা।এ সকল কারণে ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাত জায়েয রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2022

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1570

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি ৪ মাসের পর গর্ভপাত করিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথমবার গর্ভপাত থেকেই নেফাস শুরু হয়ে যাবে।তথা প্রথমবার গর্ভপাত থেকে নিয়ে ৪০ দিন পর্যন্ত নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (648,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
জাযাকাল্লাহ খইর উস্তায।
উস্তায আমার ওই বোন গর্ভপাত করায়নি ওর গর্ভপাত হয়ে গেছিলো কিন্তু পুরোপুরি পড়ে যায়নি কিছু অংশ ভেতরে থেকে গেছিলো এজন্য পরে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করানো লাগছে।
by (648,600 points)
গর্ভপাত করানো হোক বা এমনিতেই হয়ে যাক, বিধান একই থাকবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 367 views
...