ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হানাফি মাযহাবমতে এরকম চুক্তি বাতিল ও নাজায়েয।
দারুল ইফতা দেওবন্দ থেকে এ সম্পর্কিয় একটি ফাতাওয়া বর্ণিত রয়েছে।
ফাতাওয়া নং-63623
Fatwa ID: 419-435/N=5/1437
نصف کی شرط پر جانور دینا ،یعنی: کسی کو پرورش:چارہ وغیرہ کھلانے اور دیکھ ریکھ کے لیے اس شرط پر جانور دینا کہ جو بچہ پیدا ہوگا وہ دونوں کا آدھا آدھا ہوگا اور اگر دو بچے ہوئے تو ایک مالک کا اور دوسرا پرورش کرنے والے کا،درست نہیں؛ کیوں کہ یہ شرکت فاسدہ کی صورت ہے،اور ایسا معاملہ فسخ کردینا ضروری ہے،اور اگر معاملہ فسخ کرنے سے پہلے ایک یا کئی بچے ہوگئے تو وہ بچہ یا بچے اصل مالک کے ہوں گے اور پرورش کرنے والے کو اجرت مثل ملے گی اور اگر اس نے چارہ وغیرہ خرید کر یا اپنی ملکیت کا کھلایا تو اس کی قیمت بھی واجب ہوگی، اور اگر مباح چراگاہ میں چرایا تو اس کی کوئی قیمت واجب نہ ہوگی، قال في رد المحتار(کتاب الشرکة،فصل فی الشرکة الفاسدة ۶:۵۰۴،ط:مکتبة زکریا دیوبند):وعلی ھذا دفع البقرة بالعلف لیکون الحادث بینھما نصفین، فما حدث لصاحب البقرة وللآخر مثل علفہ وأجر مثلہ، تاترخانیة اھ، ومثلہ في الفتاوی الھندیة (کتاب الشرکة، الباب الخامس فی الشرکة الفاسدة ۲:۳۳۵،ط: مکتبة زکریا دیوبند) والدر المختار ورد المحتار (۷:۲۶۰، ۲۶۱)، وزاد فی الرد:قولہ:”وعلیہ قیمة العلف“أي: إن کان مملوکاً اھ،نیز باقیات فتاوی رشیدیہ (ص ۳۱۱)اور فتاوی دار العلوم دیوبند (۱۵: ۳۳۱-۳۳۳، سوال:۱۷۱- ۱۷۶،مطبوعہ: مکتبہ زکریا دیوبند) دیکھیں۔
বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয় যে,
والحیلة فی ذلک أن یبیع نصف البقرة من ذلک الرجل ونصف الدجاجة ونصف بذر الفیلق بثمن معلوم حتی تصیر البقرة وأجناسھا مشترکہ بینھما فیکون الحادث بینھماعلی الشرکة کذا فی الظھیریة(فتاوی عالمگیری ۲: ۳۳۵)۔
যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার সাথে এভাবে চুক্তি করবে যে, তুমি এক বছর আমার পশুটি লালন পালন কর, আমি তোমাকে কথার কথা একশত টাকা দিব। তারপর এক বছর পর যদি মালিক বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা পরিশোধ করে বাছুর নিয়ে নিবে। আর যদি লালনপালনকারী বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা নেবার বদলে বাছুরটি নিয়ে নিবে উভয়ের সন্তুষ্টিতে। এভাবে চলতে থাকলে এতে কোন শরয়ী বিধিনিষেধ নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৩৩৫)
হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বলেন-এ পদ্ধতিটি হাম্বলী মাযহাবে জায়েজ রয়েছে।যেমনটা ইবনে তাইমিয়াহ রাহ বর্ণনা করেছেন।
কোথাও যদি এটি ব্যাপক প্রচলন হয়, আর এ ছাড়া আর কোন পদ্ধতি সহজ না হয়, তাহলে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ হত পারে। {ইমদাদুল ফাতওয়া-৩/৩৪২-৩৪৩}
فى مجموعة فتاوى ابن تيمة-لو دفع دابته أو نخله إلى من يقوم به وله جزء من ثمانية صح. وهو رواية عن أحمد عن اختيارات 145، 146 ف 2/ 220، (مجموعة فتاوى ابن تيمة، كتاب البيع، باب الشركة
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এরকম চুক্তি যেখানে মাযহাবগত পার্থক্য রয়েছে, বিশেষ যেখানে হানাফি মাযহাবে নিষিদ্ধ বলা হয়েছে, তাই এরকম চুক্তি থেকে বেচে থাকাই উত্তম বলে মনে হচ্ছে।