আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
249 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

  1. ভার্সিটিতে অনেক সময় টিচাররা ছেলে মেয়ে মিলিয়ে গ্রুপ তৈরি করে দেন। সেখানে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হয়। তারপর  সেটা ছেলে-মেয়ে সবার সামনে সেটা প্রেজেন্ট করতে হয়, যদিও নিক্বাব রাখা যায়।গ্রুপের অ্যাসাইনমেন্ট হলে সেটা এড়িয়ে যাওয়া যায়, তবে আমার সহপাঠীরা আমাকে সেটা করতে দেয় না, কারণ আমি ওদের থেকে ভালো প্রেজেন্ট করতে পারি। তবে আশা রাখি এটা নাজায়েজ হলে আমি বেরিয়ে আসতে পারবো।তবে গ্রুপ ছাড়া মাঝে মাঝে একা সাবমিট করার প্রেজেন্টেশন দেয়া হয় যা কোনোভাবেই এড়ানো যায় না, যেহেতু এতে আলাদা মার্ক থাকে।এটা কি জায়েজ?
  2. আর পরীক্ষায় যদি আমাকে নিক্বাব খুলতে বাধ্য করে তাহলে আমার কি গুণাহ হবে? সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

(১)

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
ﻓَﺎﻟْﻌَﻴْﻨَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮُ، ﻭَﺍﻟْﺄُﺫُﻧَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟِﺎﺳْﺘِﻤَﺎﻉُ، ﻭَﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥُ ﺯِﻧَﺎﻩُ ﺍﻟْﻜَﻠَﺎﻡُ، ﻭَﺍﻟْﻴَﺪُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺒَﻄْﺶ،ُ ﻭَﺍﻟﺮِّﺟْﻞُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺨُﻄَﺎ، ﻭَﺍﻟْﻘَﻠْﺐُ ﻳَﻬْﻮَﻯ ﻭَﻳَﺘَﻤَﻨَّﻰ، ﻭَﻳُﺼَﺪِّﻕُ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟْﻔَﺮْﺝُ ﻭَﻳُﻜَﺬِّﺑُﻪُ
  • চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত।
  • কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা।
  • জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। 
  • হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। 
  • পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। 
অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

সহশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি এই গ্রুপ এসাইন্টমেন্ট থেকে বেড়িয়ে আসা যায়,তাহলে আপনাকে বেড়িয়ে আসতেই হবে।কেননা ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে উঠাবসা করা মুসলিম মহিলার জন্য কখনো জায়েয হতে পারে না।শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে শরীয়ত অনুমোদন দিয়ে থাকে।

সুতরাং অপারগ অবস্থায় রুখসতের কথা ফুকাহায়ে কেরাম বলে থাকেন।যেহেতু আপনি বেড়িয়ে আসতে পারবেন,তাই আপনাকে বেড়িয়ে আসতেই হবে।গ্রুপে থাকা আপনার জন্য জায়েয হবে না।

তাছাড়া ব্যক্তিগত এসাইনমেন্ট তৈরী করে জনসম্মুখে সেটাকে উপস্থাপন করা যদি জরুরী না হয়,তাহলে সেটারও কোনো অনুমেদন নেই।আর জামা দেয়া জরুরী হলে, নেকাব সহকারে আপনি দিতে পারবেন।কেননা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী নারীকন্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।বিস্তারিত জানুন- 1058

(২)
পরীক্ষার সময়ে চেহারা খুলার নিয়ম যদি বাধ্যতামূলক হয়,তাহলে খুলতে পারবেন।অর্থাৎ জরুরতের ধরুণ মুখ খুলতে পারবেন।তবে নিজ চক্ষু এবং আওয়াজ-কে অবশ্যই নিচু করে রাখতে হবে।এ রুখসত শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ থাকবে। জরুরত ফুড়িয়ে গেলে ,আর খোলা রাখা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...