বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
ﻓَﺎﻟْﻌَﻴْﻨَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮُ، ﻭَﺍﻟْﺄُﺫُﻧَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟِﺎﺳْﺘِﻤَﺎﻉُ، ﻭَﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥُ ﺯِﻧَﺎﻩُ ﺍﻟْﻜَﻠَﺎﻡُ، ﻭَﺍﻟْﻴَﺪُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺒَﻄْﺶ،ُ ﻭَﺍﻟﺮِّﺟْﻞُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺨُﻄَﺎ، ﻭَﺍﻟْﻘَﻠْﺐُ ﻳَﻬْﻮَﻯ ﻭَﻳَﺘَﻤَﻨَّﻰ، ﻭَﻳُﺼَﺪِّﻕُ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟْﻔَﺮْﺝُ ﻭَﻳُﻜَﺬِّﺑُﻪُ
- চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত।
- কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা।
- জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন।
- হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ।
- পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা।
অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
সহশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 434
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি এই গ্রুপ এসাইন্টমেন্ট থেকে বেড়িয়ে আসা যায়,তাহলে আপনাকে বেড়িয়ে আসতেই হবে।কেননা ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে উঠাবসা করা মুসলিম মহিলার জন্য কখনো জায়েয হতে পারে না।শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে শরীয়ত অনুমোদন দিয়ে থাকে।
সুতরাং অপারগ অবস্থায় রুখসতের কথা ফুকাহায়ে কেরাম বলে থাকেন।যেহেতু আপনি বেড়িয়ে আসতে পারবেন,তাই আপনাকে বেড়িয়ে আসতেই হবে।গ্রুপে থাকা আপনার জন্য জায়েয হবে না।
তাছাড়া ব্যক্তিগত এসাইনমেন্ট তৈরী করে জনসম্মুখে সেটাকে উপস্থাপন করা যদি জরুরী না হয়,তাহলে সেটারও কোনো অনুমেদন নেই।আর জামা দেয়া জরুরী হলে, নেকাব সহকারে আপনি দিতে পারবেন।কেননা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী নারীকন্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।বিস্তারিত জানুন-
1058
(২)
পরীক্ষার সময়ে চেহারা খুলার নিয়ম যদি বাধ্যতামূলক হয়,তাহলে খুলতে পারবেন।অর্থাৎ জরুরতের ধরুণ মুখ খুলতে পারবেন।তবে নিজ চক্ষু এবং আওয়াজ-কে অবশ্যই নিচু করে রাখতে হবে।এ রুখসত শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ থাকবে। জরুরত ফুড়িয়ে গেলে ,আর খোলা রাখা যাবে না।