আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম। ব্যাংকে চাকরি করছি আজ দুই বছর হলো, আমি এই সুদি  ব্যাংকে জয়েন করার পর থেকেই ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আজ ও পারিনি। পারিবারিক নানান সমস্যা, বাধার কারনে। কিন্তু আমার মন সব সময় এই চাকরি টাকে ঘৃণা করে। আমি কোন ভাবেই এই সুদি কাজ মানতে পারি না। আমি বাবা মা কে বলার পড় তারা বলছে তুমি কিছু টাকা জমিয়ে ব্যাবসা কর। এখন আমি ব্যাংকে জব করার কারনে কিছু টাকা জমা করেছি তা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছি। যদিও এই জমানো টাকা দিয়ে ব্যাবসা করা জায়েজ হবে কিনা আমি জানি না। আর যদি জমানো টাকা দিয়ে ব্যাবসা না করি তো ব্যাবসার মুলধন আমাকে কে দিবে, কোথায় পাব, সেক্ষেত্রে তো আমাকে খালি হাতে পথে নামতে হবে। তো আমি এখন কি করব? ব্যাংকে জব করার চেয়ে জমানো কিছু টাকা দিয়ে ব্যাবসা করা যাবে কিনা।  যেহেতু আমি অন্য কোন টাকার ব্যবস্থা করতে পারছি না। কেউ কেউ বলছে এই টাকা দিয়ে ব্যাবসা করলে সেই একই কথা হলো। কিন্তুু আমার তো আগে সুদি জব ছাড়তে হবে। তাই আমি এই জমানো কিছু টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে চাই। আমি কি এই টাকা দিয়ে সাথে আরো কিছু টাকা যা আমি বোনের কাছ থেকে নিব তা দিয়ে ব্যাবসা করব, এ বিষয়ে শরীয়তের বিধান কি জানাবেন। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/20827/?show=20827#q20827 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " أيها الناس، إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا، وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين، فقال: {يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا، إني بما تعملون عليم} [المؤمنون: ٥١] وقال: {يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم} [البقرة: ١٧٢] ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر، يمد يديه إلى السماء، يا رب، يا رب، ومطعمه حرام، ومشربه حرام، وملبسه حرام، وغذي بالحرام، فأنى يستجاب لذلك؟ "

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)

তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?” (সহীহ মুসলিম-১০১৫)

 

এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। কেউ কেউ সমস্ত মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র আসল তথা মূলধন যা হারাম ছিল, সেই মালকে মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিংবা সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

ইতিপূর্বে আমরা বলেছি যে, ব্যাংকে চাকরী করে অর্জিত অর্থ হারাম-হালাল মিশ্রিত। তাই তা গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিতে হবে। তবে যেহেতু প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উলামাদের মতভেদ আছে। তাই আপনি এ ক্ষেত্রে ঐ হারাম টাকা দিয়ে কোনো হালাল ব্যবসা করে কোনো লভ্যাংশ অর্জন করলে উক্ত অর্জিত অর্থকে হারাম বলা যাবে না। বরং তা আপনার কাছে রেখে দেওয়ার অবকাশ কাছে।

উল্লেখ্য যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হারাম কত টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করছেন তা হিসেব করে রেখে পরবর্তীতে ঐ পরিমাণ টাকা গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...