জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার দায়িত্ব ছিল ক্ষমা চাওয়া। যাকে কষ্ট দিয়েছেন তার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে তওবা করা।
,
এর দ্বারাই ইনশাআল্লাহ আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে।
সে যদি সে ক্ষমা না করে, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। কারণ আপনার সাধ্যে যা ছিল তা আপনি করেছেন। সাধ্যের বাইরে কিছু করার জন্য শরীয়ত ব্যক্তিকে বাধ্য করে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করছেন ক্ষমা নেয়ার জন্য।
সুতরাং ইনশাআল্লাহ আপনি পাকরাও হবেন না। কারণ সাধ্যের বাইরে কোন কিছু করতে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা বাধ্য করেননি।
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا [٢:٢٨٦
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না,{সূরা বাকারা-২৮৬}
আপনি আল্লাহর কাছে তওবার পাশাপাশি ওই ব্যাক্তির জন্য মাগফিরাত এর দোয়া করবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا [٤:١١٠
যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়। {সূরা নিসা-১১০}
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ [٣٩:٥٣]
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। {সূরা যুমার-৫৩}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)