আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,, আমি একজন ছেলের দ্বীনদারিত্বের জন্য অনেক বেশি পছন্দ করেছিলাম এবং বিয়ের প্রস্তাব ও দিয়েছিলাম কিন্তু উনি আমাকে পছন্দ করেনি এবং প্রায় দুই মাস আগে উনার বিয়ে হয়েছে। উনার বিয়ের এক সপ্তাহ পর যখন জানতে পারলাম তখন অনেক কষ্ট হচ্ছিলো এবং রাগ হচ্ছিল।তাই আমি একটা ফেইক আইডি দিয়ে তাদের দুইজনকে নক দেই এবং গালি ও দিয়েছিলাম খারাপ। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর ই বুঝতে পারলাম এতে বান্দার হক জড়িত এবং শয়তানের ধোকায় আমি মারাত্মক ভুল করে ফেলেছি।এরপর আমার নিজের আইডি দিয়ে তাদের কে সব বলে দেই এবং ক্ষমা চাই, একবার না, মিনিমাম ত্রিশবার তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি কিন্তু তারা দুইজন ই ঐদিন একসাথে আমাকে ব্লক করে দেয়। কিন্তু আমি একটু নাছোড়বান্দা টাইপ,তাই অন্যজনের আইডি দিয়ে ক্ষমা চাই, তখন তারা আমাকে টেক্সট করে,, হাশরের দিন আপনার সকল আমল আমাদের দিয়ে দেয়ার জন্য আর আমাদের সকল গুনাহ আপনার কাঁধে নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
এই টেক্সট দেখার পর থেকে আমি দেড় মাস যাবৎ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি মাঝেমধ্যে ই,সাথে ভয়ে শারীরিক ভাবে ও অসুস্থ হয়ে পড়ি, আমার অনেক জ্বর চলে আসে,, ইভেন গতকাল ও আমি একজনের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু তারা কিছু ই বলেনি। আমার এখন কি করা উচিত দয়া করে যদি সঠিক পরামর্শ দিতেন।

1 Answer

0 votes
by (565,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আপনার দায়িত্ব ছিল ক্ষমা চাওয়া। যাকে কষ্ট দিয়েছেন তার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে তওবা করা।
,
এর দ্বারাই ইনশাআল্লাহ আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে। 

সে যদি সে ক্ষমা না করে, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। কারণ আপনার সাধ্যে যা ছিল তা আপনি করেছেন। সাধ্যের বাইরে কিছু করার জন্য শরীয়ত ব্যক্তিকে বাধ্য করে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করছেন ক্ষমা নেয়ার জন্য।
সুতরাং ইনশাআল্লাহ আপনি পাকরাও হবেন না। কারণ সাধ্যের বাইরে কোন কিছু করতে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা বাধ্য করেননি।

لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا  [٢:٢٨٦

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না,{সূরা বাকারা-২৮৬}

আপনি আল্লাহর কাছে তওবার পাশাপাশি ওই ব্যাক্তির জন্য মাগফিরাত এর দোয়া করবেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا [٤:١١٠

যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়। {সূরা নিসা-১১০}

قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ [٣٩:٥٣]

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। {সূরা যুমার-৫৩}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...