বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ كَثِيْرٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا رَفَعَهُ قَالَ خَمِّرُوْا الْآنِيَةَ وَأَوْكُوْا الأَسْقِيَةَ وَأَجِيْفُوْا الأَبْوَابَ وَاكْفِتُوْا صِبْيَانَكُمْ عِنْدَ الْعِشَاءِ فَإِنَّ لِلْجِنِّ انْتِشَارًا وَخَطْفَةً وَأَطْفِئُوْا الْمَصَابِيْحَ عِنْدَ الرُّقَادِ فَإِنَّ الْفُوَيْسِقَةَ رُبَّمَا اجْتَرَّتْ الْفَتِيْلَةَ فَأَحْرَقَتْ أَهْلَ الْبَيْتِ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ وَحَبِيْبٌ عَنْ عَطَاءٍ فَإِنَّ لِلشَّيَاطِيْنِ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান করার পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে রেখো। কারণ এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্জ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’ ইবনু জুরাইজ এবং হাবীব (রহ.) ‘আত্বা (রহ.) হতে ‘‘কেননা এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে’’ এর স্থলে ‘‘শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে’’ বর্ণনা করেছেন। (বুখারী শরীফ ৩৩১৬.৩২৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৭৯)
ঘুমানোর আগে ঘর বাড়ীর দরজা বন্ধ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত।
আফিয়াত ও নিরাপত্তা বড় নিআমত। সকল মানুষই জান-মাল ও সহায়-সম্পদের নিরাপত্তা কামনা করে। এর জন্য পার্থিব বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকে। বাহ্যিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ইসলামে নিষেধ নয়; বরং তা কাম্য। কিন্তু জানা দরকার যে, প্রকৃত নিরাপত্তা আল্লাহ তাআলার হাতে। পার্থিব উপায় উপকরণ সবকিছু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুমের অধীন।
তাই এগুলো প্রকৃত নিরাপত্তা নয়। সুন্নাহর শিক্ষা হল বান্দার সবকিছু আল্লাহ তাআলার নিকট অর্পণ করে দেয়া। আমাদের যত শক্তিশালী প্রাচীর ও দরজাই থাক না কেন এগুলো প্রকৃত নিরাপত্তা দিতে পারবে না। নিরাপত্তা কেবল নিরাপত্তার মালিকই দিতে পারেন। তাই তার নাম নিয়ে দরজা বন্ধ করতে হবে। আল্লাহর নাম নিয়ে যে দরজা বন্ধ করল সে তো তার ঘর পরিবার পরিজনের নিরাপত্তা আল্লাহর হাতে ন্যস্ত করে দিল। সাধ্য আছে কারো এ নিরাপত্তার বুহ্য ভেদ করার!
হাদীস শরীফে দরজা বন্ধ করতে বিসমিল্লাহ বলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রিয় নবীজী বলেন-
أَغْلِقُوا الْأَبْوَابَ، وَاذْكُرُوا اسْمَ اللهِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا.
তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে দরজা বন্ধ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৩০৪
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যখন ঘুমাতে যাবেন,তখন ঘরের দরজা বন্ধ রাখা সুন্নাত।
এক্ষেত্রে আগে থেকেই যদি নিরাপত্তার ব্যাপারে হুমকি মনে হয়,সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য আরক আগেই দরজা বন্ধ করা যাবে।
,
ঘুম থেকে উঠা পর্যন্ত দরজা বন্ধ রাখা সুন্নাত।
নিরাপত্তা হীনতার শংকা থাকলে নিরাপদ সময়ে দরজা খুলবেন।
,
ঘুমানোর আগে জানালা বন্ধ রাখার কথা হাদীসে নেই।
তবে কোথাও নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কারনে ঘুমানোর আগে জানালা বন্ধ করতে পারে।
আরো আগেই জানালা বন্ধের প্রয়োজনীয়তা থাকলে সেক্ষেত্রে আরো আগেই দরজা বন্ধ করবে।