উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ছাত্রী যদি বালেগাহ হয়,অথবা বালেগাহ এর নিকটতম হয় ,এবং সে কোনে মহিলা শিক্ষক খুজে না পায়,এবং ফেতনার কোনো আশংকা না থাকে তাহলে তখন ছাত্রীর জন্য পূর্ণ হিজাব পরিধান,এবং ঐ ছাত্রীর মাহরাম কোনো পুরুষ বা ঘরের কোনো বালিগ মহিলা, পাশে থাকার শর্তে গায়রে মাহরাম পুরুষের কাছে কুরআন বা অন্য কোনো শিক্ষা অর্জন করা জায়েজ আছে।
,
হযরত ইবনে আব্বাস রাযিঃ থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ ، وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ، فَقَامَ : رَجُلٌ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا ، وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً ، قَالَ : اذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ " . الكتب » صحيح البخاري » كِتَاب الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ » بَاب مَنِ اكْتُتِبَ فِي جَيْشٍ فَخَرَجَتِ امْرَأَتُهُ
অনুবাদ- আজনবী পুরুষ-মহিলার মাহরাম ব্যতীত পরস্পর খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না।এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল।অমুক জিহাদে আমার আমার নাম লিখা হয়েছে,অন্যদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চাচ্ছে।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বে যাও। বুখারী-২৮০০ খালওয়াহ শব্দের ব্যখ্যা
الْخَلْوَةُ فِي اللُّغَةِ: مِنْ خَلاَ الْمَكَانُ وَالشَّيْءُ يَخْلُو خُلُوًّا وَخَلاَءً، وَأَخْلَى الْمَكَانُ: إِذَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ أَحَدٌ وَلاَ شَيْءَ فِيهِ، وَخَلاَ الرَّجُل وَأَخْلَى وَقَعَ فِي مَكَان خَالٍ لاَ يُزَاحَمُ فِيهِ
ভাবার্থ যখন কোনো স্থানে উক্ত আজনবী পুরুষ ও মহিলা ব্যতীত অন্য কেউ থাকবে না বা অন্য কোনো এমন জিনিষ থাকবে না যা সহবাসকে বাধা দিতে পারে।তথা এমন খালি স্থান যেখানে লোকসমাগম বলতে নেই। আল মাওসুআতুল ফেকহীয়্যায়;১৯/২৬৫
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফিৎনার আশংকা না থাকলে মাহরাম কাহারো উপস্থিতিতে শরয়ী পর্দায় থেকে হাফেজ সাহেবের কাছে কুরআন শিক্ষা করা জায়েজ আছে।
(০২)
মূলত ইসলামী ফিক্বহের মূলনীতি হল, যাকাত ও ওয়াকফের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি গরীবদের জন্য অধিক উপকারী সেটিকেই গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
সুতরাং কোন ব্যক্তির কাছে যদি স্বর্ণ ও রূপা এবং নগদ অর্থ থাকে, কিন্তু কোনটিই আলাদাভাবে নিসাব পরিমাণ না হয়, তাহলে যদি সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মূল্য পরিমাণ টাকা রূপার বিক্রি মূল্য ও নগদ অর্থ এবং স্বর্ণের বিক্রি মূল্য মিলিয়ে হয়ে যায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর স্বর্ণ মূল্য হিসেবে যাকাত আবশ্যক হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি স্বর্ণ মূল্য হিসেবে যাকাতের নিসাব পূর্ণ হচ্ছে না, কিন্তু রূপার নিসাব পরিমাণ টাকা, নগদ অর্থ এবং স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য এবং রূপার বিক্রিমূল্য দিয়ে হয়ে যায়, তাহলে তার উপর রূপার মূল্য হিসেবে যাকাত আবশ্যক হয়ে যাবে।
সহজ কথায়, স্বর্ণ ও রূপার মাঝে যেটির মূল্য দিয়ে যাকাত আবশ্যক হয়, সেটির দ্বারাই যাকাত আবশ্যক ধরা হবে। গরীবদের উপকারার্থে। যদিও আলাদাভাবে কোনটির দ্বারাই যাকাত আবশ্যক হয় না।
★★ সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বর্ণ অনুযায়ী যাকাতের নিসাব পূর্ণ না হলেও যদি তার কাছে কিছু টাকা,বা রুপা থাকে,তাহলে অল্প কিছু টাকা থাকলেও যেহেতু রূপার অনুযায়ী নেসাব পূর্ণ হচ্ছে, তাই উক্ত ব্যক্তির উপর যাকাত আবশ্যক বলে সাব্যস্ত হবে।
فى الدر المختار-وَلَوْ بَلَغَ بِأَحَدِهِمَا نِصَابًا دُونَ الْآخَرِ تَعَيَّنَ مَا يَبْلُغُ بِهِ، وَلَوْ بَلَغَ بِأَحَدِهِمَا نِصَابًا وَخُمُسًا وَبِالْآخَرِ أَقَلَّ قَوَّمَهُ بِالْأَنْفَعِ لِلْفَقِيرِ (رد المحتار، كتاب الزكاة، باب زكاة المال-3/229، وكذا فى الهداية-1/196، وكذا فى الهندية-1/179، وكذا فى التاتارخانية-2/237، وكذا فى المبسوط للسرخسى-2/191
আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তির কাছে শুধু স্বর্ণ থাকে কোন অর্থ না থাকে, তাহলে যেহেতু ৫ ভরি বা সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণের দ্বারা স্বর্ণের নেসাব পূর্ণ না হয়, তথা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ হয়না, তাই তার উপর যাকাত আবশ্যক হবে না। যদি নেসাব পূর্ণ হয় তাহলে যাকাত আবশ্যক হবে।
وفى بدائع الصنائع- فاما اذا كان له ذهب مفرد فلا شيئ فيه حتى يبلغ عشرين مثقالا، فاذا بلغ عشرين مثقال ففيه نصف مثقال (بدائع الصنائع-2/18
যার সারমর্ম হলো যদি শুধু স্বর্ণ থাকে,এবং তাহা যদি নেসাব থেকে কম থাকে,তাহলে যাকাত ফরজ হবেনা।