ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সহবাসের পর উত্তম হল, যত তারাতারি সম্ভব গোসল করে নেয়া।তবে নামাযের ওয়াক্ত পর্যন্ত দেড়ী করার রুখসত রয়েছে। হ্যা, ফজর পর্যন্ত গোসলকে ঢিলে করতে হলে, এমতাবস্থায় যে, সহবাসের পর কিছুক্ষণ ঘুমানোর ইচ্ছা হলে, ইস্তেঞ্জা এবং অজু করে শুইবে।তারপর ঘুম থেকে উঠে ফজরের পূর্বে গোসল করে নিবে। মিশকাত শরীফের বর্ণনায় এসেছে।
ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنه قَالَ: ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نم»
তিনি বলেন, ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস বললেন, (কোন সময়) রাতে তার নাপাকী হয়ে গেলে (তৎক্ষণাৎ তার কী করা উচিত)? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তখন তুমি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে, তোমার গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে নিবে, অতঃপর ঘুমাবে। (মিশকাত-৪৫২) সহীহ : বুখারী ২৯০, মুসলিম ৩০৬
مظاہرحق میں ہے :
" یہ وضو کرنا جنبی کے سونے کے لیے طہارت ہے، یعنی جنبی وضو کر کے سویا تو گویا وہ پاک سویا، لہٰذا اس حدیث سے معلوم ہوا کہ جسے رات کو احتلام ہو جائے یا جماع سے فراغت ہو اور اس کے بعد سونے کا ارادہ یا بوجہ کسی ضرورت بے وقت غسلِ جنابت میں تاخیر کا خیال ہو تو ایسی شکل میں جنبی کا وضو کر لینا سنت ہے۔ اتنی بات اور سمجھ لیجیے کہ حدیث سے تو یہ معلوم ہوتا ہے کہ صورتِ مذکورہ میں وضو کیا جائے اس کے بعد عضوِ تناسل کو دھویا جائے، حال آں کہ ایسا نہیں ہے، بلکہ صحیح مسئلہ یہ ہے کہ پہلے عضوِ تناسل کو دھونا چاہیے، اس کے بعد وضو کرنا چاہیے، اس شکل میں حدیث کی مذکورہ ترتیب کے بارے میں کہا جائے گا کہ یہاں وضو کرنا اس لیے مقدم کر کے ذکر کیا گیا ہے کہ وضو کا احترام اور اس کی تعظیم کا اظہار پیش نظر تھا۔"
فتوی نمبر : 144201200619
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
" الجنب إذا أخر الاغتسال إلى وقت الصلاة لايأثم، كذا في المحيط ." (1/209)
জুনুবি ব্যক্তি যদি গোসলকে নামাযের ওয়াক্ত পর্যন্ত দেড়ি করে,তাহলে গোনাহ হবে না।
যদি কোনো জুনুবি ব্যক্তি গোসলের পূর্বে শয়ন করে নেয়,বা প্রস্রাব করে নেয়, অথবা ৪০ কদম হেটে যায়, অতঃপর গোসল করে, এবং কামভাব ব্যতিত বীর্যর ফোটা বাহির হয়, তাহলে এমতাবস্থায় আবার গোসল ফরয হবে না।এই ভাবে যদি কেউ গোসল ফরয হওয়ার সাথে সাথেই গোসল করে নেয়,এরপর ৪০ কদম হাটে,অথবা প্রস্রাব করে নেয়,অথবা শয়ন করে,(এতক্ষণ পর্যন্ত বীর্যর ফোটা আসেনি) এরপর কামভাব ব্যতিত যদি বীর্যর ফোটা বাহির হয়, তাহলে তখনও গোসল ফরয হবে না। কিন্তু যদি সহবাস থেকে ফারিগ হওয়ার সাথে সাথেই গোসল করে নেয়া হয়,তবে শয়ন করা হয়নি, প্রস্রাবও করা হয়নি এবং ৪০ কদম হাটাও হয়নি, তাহলে এমতাবস্থায় বীর্যর ফোটা বাহির হলে অবশ্যই দ্বিতীয়বার গোসল ফরয হবে।