আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
197 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আমি একবার একজনের সাথে বাইরে গিয়েছিলাম। ওইদিন আমি প্লাজু পায়জামা (শরয়ী পর্দা মেনে বোরকা পড়েছিলাম) পড়ে গিয়েছিলাম। রিকশা থেকে নামার সময় আমার পা এর কিছু অংশ বের হয়ে পড়ে যদিও আমি পা-মোজা পড়েছিলাম। তার কিছুদিন পর,আমি চাচাতো বোনের সাথে কথা বলার সময় প্লাজুর কারণে সতর এভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা বলি আর সেসময় একটু জোশের বশে বলে ফেলি যে,'আল্লাহর কসম আমি আর প্লাজু পড়ে কোনোদিন বাইরে বের হব না( সিরিয়াসলি বলি নাই,কেমন যেন মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছিল)'

তারপর,আমি ছাদে গেলে প্লাজু পড়ে গেছি মাঝে মধ্যে। আর,বাইরে যাওয়ার সময় পাল্টিয়ে যেতাম।কিন্তু,তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এ নিয়ে মোট ৩ বার প্লাজু পড়ে বাইরে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু রাস্তার মাঝখানে মনে হওয়া আর তাড়াহুড়োর কারণে প্লাজুটা তখন পাল্টানো হয়নি তবে আমার সতর প্রকাশ পায়নি কোনোবারই।এখন,আমি ৩ দিনে না চাওয়াবশত যে সেভাবে চলে গেছি তার জন্য কাফফারা হিসেবে কি রোজা রাখব,আর রাখলে কয়টা রাখব?

তাছাড়া, ছাদে যাওয়াটা বিল্ডিং এর ভিতরে হওয়ায় আমি কসমের বিষয়টা সেক্ষেত্রে আমল করিনি,মানে প্লাজু পড়ে যাওয়া নিয়ে কোনো সংকোচ করিনি,যখন তা পরিহিত ছিলাম অবলীলায় চলে গিয়েছি,এটার জন্য কোনো সমস্যা হবে কি না?

উল্লেখ্য,আমার প্লাজু পায়জামা মাত্র ২ টা,যার একটা কেবল নামাজের জন্য।আমি এমনিতেও এ ধরণের পাজামা পছন্দ করি না,তাই স্বাভাবিক পাজামাই পড়ি।কাফফারা আদায় করলে কি প্লাজু পরে বাইরে বের যেতে পারব?? যদিও এ ধরনের পাজামা বানানোর নিয়্যত নাই,ওই ১ টার জন্যই জানতে চাওয়া।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার উপর সর্বমোট একটি কসমের কাফফারা আসবে। বাহিরে যাওয়া দ্বারা উরফে বা সমাজে বাজার মার্কেট ইত্যাদিকে বুঝানো হয়ে থাকে, সুতরাং বাসার ছাদে প্লাজু পড়ে যাওয়ার কারণে কসম ভঙ্গ হবে না।

হ্যা, বাসার বাহিরে যেহেতু প্লাজু পরিধান করে আপনি গিয়েছেন, তাই আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।কাফফারা একবারই দিতে হবে। ভবিষ্যতে কখনো প্লাজু পরিধান করে গেলে আর কাফফারা দিতে হবে না।

কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)

কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1808


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
جزاكاالله خير 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...