আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
একজন মুসল্লি মাগরিবের সলাত জামাআতের সাথে পড়ছে।৩য় রাকাতের শেষে সালাম ফিরিয়ে সে দেখলো তার আগে আসা কিছু মুসল্লি দাড়িয়ে গেছে।অর্থাৎ তারা মাসবুক। এটা দেখে সে দ্বিধাদ্বন্দে পরে গেলো।তার কাছে মনে হচ্ছে সে ১ম রাকাত পেয়েছে,অথচ এদিকে তার আগে আসা কয়েকজন মাসবুক।তাহলে কি সেই ভুল করলো?কোন সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে সে পিছনে গিয়ে তাকবির দিয়ে "১ রাকাত" সলাত পড়ে সাহু সিজদাহ করে সালাম ফিরিয়ে দিলো।

তার সলাত কি হয়েছে নাকি হয়নি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

যদি নামাযে রা'কাত বা সেজদার সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,তাহলে দেখতে হবে যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝে মধ্যে এমন হয়।

যদি প্রথমবার সেটা হয়ে থাকে, তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে তার বিধান হলো তিনি প্রবল ধারণা এর উপর আ'মল করবেন।

যদি দুই রাকাতের উপর প্রবল ধারনা হয়,তাহলে আরো এক রাকাত আদায় করবে,আর তিন রাকাতের উপর প্রবল ধারনা হলে সে আর রাকাত বাড়াবেনা,উভয় ছুরতেই শেষে সেজদায়ে সাহু দিবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।

مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ الظُّهْرَ خَمْسًا فَقَالُوا أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ قَالَ وَمَا ذَاكَ قَالُوا صَلَّيْتَ خَمْسًا فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ.

আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত পাঁচ রাক‘আত আদায় করেন। তখন মুসল্লীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ সালাতে কি কিছু বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ তা কী? তারা বললেনঃ আপনি যে পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন। রাবী বলেন, তিনি নিজের পা ঘুরিয়ে (ক্বিবলাহ্মুখী হয়ে) দু’ সাজদাহ (সাজদাহ সাহু) করে নিলেন। (বুখারী ৪০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫)

আরো জানুনঃ
,

★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সে দেখে যে তার আগে আসা একজন ব্যাক্তি শুধু মাসবুক হওয়া মনে করে দাড়িয়েছে,আর সে প্রবল ধারনা রাখে যে উক্ত ব্যাক্তিই ভুল করেছে,সে নিজেই ঠিক করেছে,তাহলে তার নামাজ তখনই হয়ে গিয়েছে,কোনো সমস্যা নেই।
যদি প্রবল ধারনা না রাখতে পারে,তাহলে তাকে আবার নামাজ পড়ে নিতে হবে।
কারন সে যেহেতু নিজ স্থান থেকে সরে গিয়েছে,তাই আমলে কাছির হয়েছে,এখন সেই এক রাকাত আর যুক্ত হবেনা।
নতুন করে পুরো নামাজ আবার আদায় করে নিতে হবে। 
আর যদি সে দেখে যে তার আগে আসা একাধিক ব্যাক্তি মাসবুক হয়ে দাড়িয়ে গিয়েছে,তাহলে সেও নিশ্চিত মাসবুকই।
হয়তোবা সে তার অবস্থা সম্পর্কে বেখেয়াল ছিলো,তাই এমনটি হয়েছে,সুতরাং তাকে আবার নামাজ আদায় করে নিতে হবে।    

খুলাছাতুল ফাতওয়া গ্রন্থে আছেঃ 
قال فی الخلاصۃ وان سلم وھولایرید ان یسجد لسھوہ لم یکن تسلیمہ ذلک قطعاً حتی لوبدأ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ لہ ان یسجد وھوفی مجلسہ ذلک قبل ان یقوم وقبل ان یتکلم فانہ یسجد سجد تے السہوفان تکلم اوخرج من المسجد لایاتی بھما(ص ۱۷۳ج۱)
যার সারমর্ম হলো নিজ জায়গা থেকে সরে আসলে ঐ নামাজ আবার আদায় করতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
0 votes
1 answer 141 views
...