بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কুরবানী সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ
سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন
অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে
মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ
ولو كان فى ملك انسان شاة فنوى أن يضحى بها أو اشترى شاة ولم ينو
الأضحية وقت الشراء ثم نوى بعد ذلك أن يضحى بها لا يجب عليه سواء كان غنيا أو
فقيرا لأن النية لم تقارن الشراء فلا تعتبر (بدائع الصنائع، كتاب الأضحية-4/193،
هندية-5/291، جديد-5/336)
সারমর্মঃ কোনো ব্যাক্তি মালিকানায় যদি ছাগল থাকে,অতঃপর
সে যদি তাতে কুরবানীর নিয়ত করে অথবা কেহ যদি ছাগল ক্রয় করে,কিন্তু
ক্রয়ের সময় কুরবানীর নিয়ত না করে,তারপর নিয়ত করে যে সেটা দিয়ে
কুরবানী দিবে।
তাহলে উপরোক্ত ছুরত গুলোতে তার উপর এই নিয়তের দ্বারা কুরবানী ওয়াজিব হবেনা। চাই সে ধনী হোক বা ফকির হোক। কেননা
ক্রয়ের সময় কুরবানীর নিয়ত ছিলোনা, সুতরাং এটির গ্রহনযোগ্যতা নেই।
*শরীয়তের বিধান হলো কুরবানীর পশু ক্রয় করার পর যদি তার বাচ্চা হয়, তাহলে
মায়ের সাথে তাকেও কুরবানী করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سَلَمَةَ
بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْبَقَرَةُ
عَنْ سَبْعَةٍ، . قُلْتُ فَإِنْ وَلَدَتْ قَالَ اذْبَحْ وَلَدَهَا مَعَهَا .
قُلْتُ فَالْعَرْجَاءُ قَالَ إِذَا بَلَغَتِ الْمَنْسِكَ . قُلْتُ فَمَكْسُورَةُ
الْقَرْنِ قَالَ لاَ بَأْسَ أُمِرْنَا أَوْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَيْنِ وَالأُذُنَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সাতজন
ব্যক্তি পর্যন্ত একটি গরুতে অংশীদার হওয়া যায়। আমি (হুযাইয়্যা) বললাম, বাচ্চা
ভূমিষ্ঠ হলে (অর্থাৎ পেটে বাচ্চা পাওয়া গেলে) তিনি বললেন, বাচ্চাটিকেও
এর সাথে যবেহ কর। আমি বললাম, গরুটি খোড়া হলে? তিনি
বললেন, যদি তা কুরবানীর স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে (তবে তা কুরবানী
করা যাবে)। আমি বললাম, তার শিং ভাঙ্গা হলে? তিনি
বললেন, এতে কোন সমস্যা নেই। আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে অথবা আমরা যেন
কুরবানীর পশুর (কেনার সময়) দুই চোখ ও দুই কান - ভালভাবে দেখে নেই। (ইবনু মা-জাহ -৩১৪৩)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।(তিরমিজি ১৫০৩)
ঐ বাচ্চাটিকেও কুরবানী করতে হবে,তবে শর্ত হল, যেন
ঐ বাচ্চা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়। (বাইহাকী
৯/২৮৮, আল-মুমতে ৭/৫১০)
কুরবানীর পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম।
যদি সদকা না করে তবে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিবে।–(কাযীখান ৩/৩৪৯, আলমগীরী
৫/৩০১, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথম
দেখার বিষয় আপনার বাবার উপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল কি না? যদি কুরবানী ওয়াজিব না হয়
তাহলে কুরবানীর নিয়তে যেই ছাগল ক্রয় করেছে তাই কুরবানী করা ওয়াজিব হবে। আর যদি আপনার
বাবা সাহেবে নিসাব হয় তাহলে যেকোন পশু কুরবানী করলেই হবে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
নেসোব সম্পর্কে জানতে:
https://www.ifatwa.info/1642
প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে আপনার বাবা যদি সেই ছাগলটি আল্লাহর নাম নিয়ে কুরবানীর নিয়তে জাবাই করে থাকে
তাহলে ওয়াজিব আদায় হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার প্রশ্নের ধরণ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনার
বাবা মনে হয় ছাগলটি রাগের বশে জবাই করেছেন যাতে তার কুরবানীর নিয়ত ছিল না। যদি
বাস্তবতা তাই হয়, তাহলে জেনে রাখা উচিত যে,
কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব
কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত
একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু
কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।–(বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া
কাযীখান ৩/৩৪৫)
সুতরাং আপনার বাবা যদি কুরবানীর
নিয়ত না করে আল্লাহর নামে জবাই করে তাহলে তার গোশ্ত খাওয়া যাবে। কিন্তু যদি
কুরবানীর নিয়তে জবাই করে তাহলে তার গোশ্ত মানতের হুকুমে হয়ে যাবে। যা নিজে খেতে
পারবে না। বরং সদকা করে দিতে হবে। মানতের গোশ্তের বিধান জানতে: https://ifatwa.info/38016/?show=38016#q38016