বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُل لاَّ أَجِدُ فِي مَا أُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلاَّ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللّهِ بِهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلاَ عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু।(সূরা আন'আম-১৪৫)
খানা এবং পানাহারে মূল বিষয় হল,হালাল হওয়া।যতক্ষণ না হারাম হওয়ার দলীল পাওয়া যাচ্ছে।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।(সূরা বাকারা-২৯)
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি বলেন,
وعن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَأْكُلُونَ أَشْيَاءَ وَيَتْرُكُونَ أَشْيَاءَ تَقَذُّرًا فَبَعَثَ اللَّهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ وَأَحَلَّ حَلَالَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلَالٌ وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفْوٌ وَتَلَا قُلْ لَا أَجِدُ فِيمَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا إِلَى آخِرِ الْآيَةِ " رواه أبو داود (3306)
(সুনানু আবি-দাউদ-৩৩০৬)
ইবনে হাজার রাহ বলেন,
কোনো প্রাণী সম্পর্কে যতক্ষণ না হারামের দলীল পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ সেই জিনিষ হালাল হিসেবে প্রমাণিত থাকবে।তবে যবেহের শর্তে।যেমন,হাস,পানি হাস ইত্যাদি।(ফাতহুল বারী)
হাস এবং কবুতর সম্পর্কে হারামের কেনো দলীল পাওয়া যাচ্ছে না।সুতরাং আমরা মূলের দিকে ফিরে যাবো।আর প্রত্যেক জিনিষের মূল হল হালাল হওয়া।কবুতর হালাল হওয়া সম্পর্কে সাহাবাদের ফয়সালা সন্তুষজনক।কেননা সাহাবায়ে কেরাম হারামের কবুতর শিকার করলে বকরী দ্বারা দম আদায় করার ফয়সালা করে থাকেন।(আল-মুগনি-৩/৩৭৪)
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" اتفق أصحابنا على أنه يحل أكل النعامة والدجاج...والبط والقطا والعصافير والقنابر والدراج والحمام.."
সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে,উঠপাখি,মুরগি,হাস,কাতা পাখি,চুড়ই পাখি,কবুতর খাওয়া জায়েয।(শরহুল মুহাযযাব-৭/২২)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জালালী কবুতর খাওয়া জায়েয।তবে কারো মালিকানা হলে বা গায়রুল্লাহর নামে কোনো কবুতরকে ছেড়ে দিলে,সেই কবুতর খাওয়া জায়েয হবে না।