আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

#আমি এস এস সি পরীক্ষার পর ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছি।এখন হাইয়ার এডুকেশন বি এস সি এর জন্য এডমিশন কোচিং করছি প্রায় লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। পারিবারিক অবস্থা তেমন সচ্ছল না বাবা অনেক কষ্ট করে পড়িয়েছেন। ভালো জব করে পরিবার কে সাপোর্ট দিবো এটাই ইচ্ছা উনার।

# ৪ বছরের সহশিক্ষায় যাওয়ার আগে আমি হেদায়েত পেয়েছিলাম কিন্তু পরে ফিতনায় জরিয়ে গেছি অনেক মা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও পারছিনা। বিয়ের প্রয়োজন অনুভব করি কিন্তু তা এখন পরিবার দিবে না।

# স্টুডেন্ট হিসেবে অনেক ভালো আমি প্রিপারেশন ও অনেক ভালো এখন যদি কমন পড়ার পর ও আমি এডমিশন হলে না লিখি এটা কি ঠিক হবে????? আমার কি আবার সহশিক্ষায় যাওয়া ঠিক হবে????? যেহেতু ইসলামী শরীয়াহ পূরণ করে আমি সহশিক্ষায় পড়াশোনা করতে পারছিনা।এতে কি বাবাকে কস্ট দেওয়ার ফলে গুনাহ হবে???

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/30426/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

দ্বীনি শিক্ষা হোক, বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি। (বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

 

একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

. শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

. চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে, প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না। মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না। সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। (ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;)

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

https://www.ifatwa.info/434

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরে লিখিত শর্তাবলি পুরোপুরি ভাবে মেনে উক্ত হাইয়ার এডুকেশন বি এস সি এর জন্য এডমিশন নিতে পারলে আপনার এভাবে পরীক্ষায় ফাঁকি দেয়া বাবার হক নষ্টের শামিল হবে। বিনা প্রয়োজনে এভাবে ধোকা দেয়া গুনাহ হবে।

আর যদি উপরে উল্লেখিত শর্তাবলি আপনি পূর্ণ ভাবে মানতে না পারেন, পূর্ণ পর্দার পরিবেশ যদি না থাকে বা ফিতনার যদি প্রবল আশংকা থাকে, সেক্ষেত্রে এভাবে বিশেষ প্রয়োজনে গুনাহ থেকে বাঁচতে উক্ত কাজ করলে কোন সমস্যা নেই। তবে আপনার অবিভাবকের উপর আবশ্যক হলো এই ফিতনার যুগে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব না করা। কারণ, বিয়েতে বিলম্ব করার কারণে যদি সন্তান কোন গুনাহ করে বা ফেতনায় জড়িয়ে পড়ে তাহলে সেই গুনাহের শাস্তি বাবা মাকেও ভোগ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...