আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ, প্রশ্নগুলোর উপর আলোকপাত করে বাধিত করবেন ইন শা আল্লাহ।
১। স্বামীর এমন কোন চাহিদা যা মাকরুহে তাহরিমি বা তানযিহি যেকোনোটা হয় এবং স্ত্রীকে জোর-জবরদস্তি করে, ওই ধরণের কাজগুলো স্বামী করতে না পারলে স্ত্রীকে বকাঝকা করলে তাতে স্ত্রীর কি করণীয়? স্পষ্ট হারামের আদেশ মান্য করা যাবে না তা জানা আছে , যেমন পায়ুপথে মিলন ইত্যাদি। তো এগুলো না আশা পর্যন্ত কি স্ত্রী এসব কাজে অংশ নিতে পারে? স্ত্রী চায় না স্বামীর অসন্তুষ্টি হোক কারণ স্বামীর অন্যান্য কোন সমস্যা নেই আবার আল্লাহেরও নাফরমানি হোক।
২। বয়সন্ধিকালিন সময়ে কোন বালকের সাথে কিছু মাসের জন্য তার আপন খালা যদি বিভিন্ন যৌন উত্তেজক কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি, শরীরের কিছু স্পর্শকাতর জায়গা যেমন ঘাড়, রান ইত্যাদি স্পর্শ করে থাকে এবং বালক অনিচ্ছাসত্ত্বেও নফসের তাড়নায় তা উপভোগ করে, ঘুমের মধ্যে খালার সাথেও উক্ত কাজগুলো করে এতে কোন হুরমত সাব্যস্ত হবে কিনা হলে তা কাদের মধ্যে একটু বিস্তৃতভাবে জানাবেন। কেউই শরিয়তের বিধান সম্পর্কে জানত না এ ব্যাপারে আর এখন এমন কোন মনোভাব এখন নেই।
৩। মদিনাতে হিজরতের পর একজন আনসার চেয়েছিলেন যে মুহাজির সাহাবী কে নিজের এক স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বিয়ে দিতে। সাথে মুঘল সম্রাট আকবরের এক উজির নিজের স্ত্রীকে তালাক দেয় যাতে সম্রাট তাকে বিয়ে করতে পারে কারণ সম্রাট স্ত্রীর মুখ চেহারায় মহিত হয়েছিল। পরের ঘটনাটা কতটুক ইতিহাসের তাহকিকের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ তা প্রশ্নের দাবি রাখে আর সত্যি হলেও তা কোন দলিল নয় যেখানে আকবরের নিজের ঈমান নিয়েই উলামায়ে কিরাম সন্দিহান। তো মূল জানার ব্যাপারটি হল এই ধরণের কাজ বর্তমানে ঘটেছে, যেমন দুইজন পুরুষ পরিচিত, দূর সম্পর্কের ভাই। বিবাহিত জনের স্ত্রীর মুখমণ্ডল দর্শনে এহেন আকর্ষণ জানতে পেরে যদি স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ভাইয়ের সাথে ইদ্দতের পরে ওই মহিলার বিয়ে হয়। এখন তালাক প্রদানকারী পুরুষ দাইয়ুস বলে সাব্যস্ত হবে কিনা?