বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার প্রশ্নের জবাব বুঝার পূর্বে নিম্নোক্ত ফাতাওয়াটি লক্ষ্যণীয়।
শরীয়তে দু'টি নিষিদ্ধ বিবাহের আলোচনা পাওয়া যায়।যথাঃ-(ক)(নিকাহুল মুত'আহ বা মূতা বিবাহ(খ)নিকাহুল মু'আক্কাতি বা সাময়িক বিবাহ
হেদায়া কিতাবে এ দু'টি বিয়েকে হুকুমসহ এভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে,
قال: " ونكاح المتعة باطل " وهو أن يقول لامرأة أتمتع بك كذا مدة بكذا من المال وقال مالك هو جائز لأنه كان مباحا فيبقى إلى أن يظهر ناسخه قلنا ثبت النسخ باجماع الصحابة رضي الله عنهم وابن عباس رضي الله عنهما صح رجوعه إلى قولهم فتقرر الإجماع "
মূতা বিবাহ বাতিল।মূতা বিয়ে হল,কোনো পুরুষ কোনো মহিলাকে বলবে,আমি এত দিনের জন্য এক টাকার বিনিময়ে তোমার কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করবো।এরকম বিয়ে শরীয়তে নিষিদ্ধ।তবে ইমাম মালিক রাহ এটাকে প্রথমে জায়েয বলতেন।যেহেতু ইবনে আব্বাস রাযি প্রথমে জায়েযের পক্ষে ছিলেন,পরবর্তীতে ইবনে আব্বাস রাযি উনার মত থেকে জুমুহুর সাহাবার মতের দিকে ফিরে আসেন।
সুতরাং সমস্ত সাহাবায়ে কেরামের ঐক্যমত মূতা বিবাহ নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
والنكاح المؤقت باطل " مثل أن يتزوج امرأة بشهادة شاهدين إلى عشرة أيام وقال زفر هو صحيح لازم لأن النكاح لا يبطل بالشروط الفاسدة. ولنا أنه أتى بمعنى المتعة والعبرة في العقود للمعاني ولا فرق بين ما إذا طالت مدة التأقيت أو قصرت لأن التأقيت هو المعين لجهة المتعة وقد وجد
সাময়িক বিয়ে বাতিল,যেমন কেউ কোনো মহিলাকে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে দশ দিনের জন্য বিয়ে করল।ইমাম যুফার রাহ বলেন,এভাবে বিয়ে করলে বাতিল হবে না বরং সাধারণ বিয়ের মত লাযিম হয়ে যাবে।কেননা বিয়ে বাতিল শর্তসমূহর মাধ্যমে ফাসিদ হয় না।ইমাম যুফার রাহ ব্যতীত অন্যান্য হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সে এখানে বিয়েকে উপভোগের অর্থে নিয়ে এসেছে।আর উকুদ তথা চুক্তিতে অর্থকেই ধর্তব্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়।সময় কম হোক আর বেশী হোক উপভোগের অর্থ চলে আসলে সেই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে।আর এখানে সময়ের উল্লেখের ধরুণ উপভোগের অর্থা পাওয়া গিয়েছে।(হেদায়া-১/১৯০)
যুদ্ধরত কাফির ব্যতিত কাউকে ধোকা দেওয়া কখনো জায়েয হবে না।
না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিদেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কিংবা বৈধ হওয়ার জন্য কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ (টাকার বিনিময়ে) বা চুক্তিতে বিবাহ করা জায়েয হবে না। তবে কেউ করে নেয়,তাহলে পরবর্তী ইনকাম হারাম হবে না যদিও উক্ত বিয়ের মাধ্যমে সেটেল হওয়া জায়েয হয়নি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/11338