আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।কোন ছেলে মেয়ে বিয়ে করেছে তা বাসায় জানাই নি ছেলেটা।মেয়েটা জানালেও মেনে নেয় নি।একান্তে ওরা মাঝে মাঝে সময় কাটায়।তহ ছেলেটার বাসা অনেক দূরে  যেতে যেতে রাত হয়ে যায়।মা জানে কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে।মা একটু রাগ করে সবসময়।তাই স্ত্রী বলে মা যাই বলবে বলুক আমাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোন কথা কোনদিন বলবেন না।স্ত্রী বুঝাতে চাইছে মাকে কোনদিন এই বিষয়ে কথা বলবেন না।মানে মায়ের কথা শুনে রাগে স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা না বলতে বলেছে।ছেড়ে দেয় নি, এই বিষয়ে না বলতে বলতেছে আর কি।কারন স্বামী এই বিষয়ে মানে কি কি বললে তালাক হতে পারে সেগুলো জানে না কখন কখন হতপ পারে সেসব জানে না। তাই স্ত্রী বারন করেছে না বলতে।এতে কি সমস্যা হবে? স্ত্রীকে পাওয়ার দিছে  উপরোক্ত স্ত্রীর  কোন কথার কারনে কি সমস্যা হবে?

২।এই বিষয়টা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন স্বামী বলেছে তুই তাই ব্যাবহার করলে তালাক হয়ে যাবে।তহ স্ত্রী যদি ভালবেসে স্বামীকে গান শুনায়।মনে মনে স্বামীকে ভেবে ভেবে গাইলে।আর ঐগানে তুই বা তোর এমন শব্দ থাকলে।ঐ গান শুনালে কি তালাক হবে? সে তহ স্বামীর সাথে তুই তাই ব্যাবহার করে নি।শুধু গান শুনালে ঐগানে এমন শব্দ থাকলে সমস্যা হবে?এটা এমনিতে জানার জন্য।আমার বিষয় না।

৩।স্বামী স্ত্রী ধরেন বিয়ে করেছে।কিন্তু স্ত্রীর পরিবার মানে ওর বাবা,মা মেনে নেই নি।স্ত্রী এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।তহ স্বামীর সাথে মেসেন্জারে কথা হওয়ার সময়,স্বামী একটা ভিড়িও দেয় সেখানে লিখা ছিল ৯৯% মেয়ের সংসার ভান্গে মা বাবার কারনে।মানে কু পরামর্শ বা বদদোয়া হয়ত এমনকিছু ছিল। স্ত্রী দেখে নি।কারন স্ত্রী খুবই ভয় পায় এসব কিছু নিয়ে সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।তাই সে বলে এগুলো ডিলেট করেন আমি দেখব না।স্বামী বলে দেখ না তুমার মা বাবা তুমাকে ভুলাবে যে।মানে স্ত্রীর মা স্ত্রীকে ভুলায় ফেলবে কথার জালে এমন বলেছে স্বামী।এসব কথা দ্বারা কোন সমস্যা হবে নাত?স্বামীও চায় স্ত্রীর সাথে থাকতে।

৪।কেউ ধরেন স্ত্রীকে থামানোর জন্য মানে আমি এতবার গুনব এর মধ্যে থাম তা না হলে ক্ষতি হবে এমন কিছু বুঝানোর জন্য ১ ২ ৩ ৪ ৫  বা এত পর্যন্ত গুনব বলে  এভাবে গুনলে তহ সমস্যা হয় না।কিন্তু স্বামীর কোন কথা,ধরেন মনে থাকে না।স্ত্রীর মনে হচ্ছে স্ত্রীকে থামানোর জন্য  এভাবে বলত। কারন স্ত্রীও স্বামীকে ধমক দেওয়ার জন্য বলত আমি ১০ পর্যযন্ত গুনব হেন তেন।স্বামীর কোন কথা মনে থাকে না তাই স্ত্রী জিগ্যেস করে নি।করলেও হয়ত উল্টা পাল্টা বলে দিবে কারন স্বামী তালাকের বিষয়ে এত কিছু জানে না।এমনিতে স্বামী বলেছিল ধরেন তালাকের নিয়তে কোনদিন কোন কথা বলে নি।স্ত্রীর ও মনে হচ্ছে এগুলো ঐভাবে বলত না।এখানে আগেও প্রশ্ন করেছিল বলেছিল এভাবে তালাক হয় না। আর স্বামীর মনে থাকে না তাই স্বামীকে প্রশ্ন করে নি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

(০১)
উপরোক্ত স্ত্রীর  কোন কথার কারনে কোনক সমস্যা হবেনা।

(০২)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীকে তুই বলা হয়নি,সুতরাং এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

إذا وجد الشرط انحلت الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵، کذا في الہدایۃ / باب الأیمان في الطلاق ۲؍۳۵۸، البحر الرائق / باب التعلیق ۴؍۸ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
এসব কথার দ্বারা আপনাদের বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে না।

(০৪)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...