নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নামাযীর সামনে সুতরা দেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সাঃ এর একটি হাদীস দ্বারা সুষ্পষ্টরূপে সুতরার গুরুত্ব বুঝা যায়- হাদীসটি হল-
عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ঘরের দেওয়ালের বাহির থেকে নয়,বরং ঘরের ভিতর থেকেই নামাজির সামনে দিয়ে কাহারো যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে,তাহলে সামনে সুতরা দিতে হবে।
,
আর যদি নামাজির সামনে দিয়ে কাহারো যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে,বরং মানুষ যদি দেওয়ালের বাহিরের দিক থেকেই অতিক্রম করে, তাহলে সুতরা দিতে হবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ شَيْء وادرؤوا مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন কিছুই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নষ্ট করতে পারে না। এরপরও সালাতের সম্মুখ দিয়ে কিছু যাতায়াত করলে সাধ্য অনুযায়ী তাকে বাধা দিবে। নিশ্চয়ই তা শায়ত্বন (শয়তান)।
(আবূ দাঊদ ৭১৯,মিশকাত ৭৮৫)
، عَنْ حُصَيْنٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْمِنْبَرِ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا يَقْطَعُ الصَّلاةَ إِلا الْحَدَثُ "
আলী (রাঃ) মিম্বারের উপর থেকে বললেন, হে জনতা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ওযূ নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কোন কারণে নামায ভঙ্গ হয় না।
(মুসনাদে আহমাদ ১১৬৪)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى أَبُو الْمُعَلَّى، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ فَذَكَرُوا الْكَلْبَ وَالْحِمَارَ وَالْمَرْأَةَ فَقَالَ مَا تَقُولُونَ فِي الْجَدْىِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي يَوْمًا فَذَهَبَ جَدْىٌ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَبَادَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْقِبْلَةَ .
আল-হাসান আল-উরানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিসে সালাত নষ্ট করে তা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর উপস্থিতিতে আলোচিত হল। লোকেরা কুকুর, গাধা ও স্ত্রীলোকের কথা উল্লেখ করলো। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, ছয়-সাত মাসের বকরীর বাচ্চা সম্পর্কে আপনারা কি বলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সালাত পড়ছিলেন। তাঁর সামনে দিয়ে ছয়-সাত মাসের একটি বকরীর বাচ্চা অতিক্রম করে যাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটিকে কিবলার দিক থেকে হটিয়ে দিতে চেষ্টা করেন।
(ইবনে মাজাহ ৯৫৩.আবূ দাঊদ ৭০৯, আহমাদ ২২২৩, ২৮০১, ৩১৫৭, ৩১৮৩।)