আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
আমি অনলাইন এ একটা কাজ পেয়েছি সেইটা হচ্ছে Email  account খোলা।  একটা Email খোলার জন্য 7 টাকা করে পাই। Email সাধারণত বাইরের দেশ এর Ip দিয়ে খোলা হই। খোলার সময় অন্যদের(যেকোনো বাইরের দেশ এর মানুষ এর নাম ব্যবহার করলে ই হই)  নাম ব্যবহার করা হই। এই Email খোলার পড় আমি বিক্রি করে দি যেই গুলা ভালো খারাপ সব কাজে ব্যবহার হই। আমার এই কাজ টা কি হালাল হচ্ছে?  আর আমি যদি জানি যে E-mail গুলা হারাম কাজ এ ব্যবহার হবে তাহলে কি এইটা হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/11140/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
ই-মেইল কম্পানি সাধারণত রিয়েল নাম্বার ব্যবহার করার রুল জারি করে থাকে।এবং ই-মেইল সাইনাপকে তারা বানিজ্যিক করে দেয়নি।বরং তারা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের নিমিত্তে সাইনাপ সুযোগ দিয়েছে।সুতরাং এ দিক দিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় যে,এটা ই-মেইল কর্তৃপক্ষের সাথে এক প্রকার ধোকা।
,
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
(বুখারী ০১.মিশকাত ০১।)
,
নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।

এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ 
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১)আরো জানুন-৬৪৭

সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।

তবে যেহেতু ই-মেইল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হল,তার প্রজেক্টটা বেশী ব্যবহার হোক,পরিচিতি লাভ করুক,তাই এভাবে কোনো কম্পানির ই-মেইল বানিয়ে বিক্রি করা তাদের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।বরং তাদেরকে সহযোগিতা করার পর্যায়ে সেটা গিয়ে পৌছবে।সে হিসেবে আপনি ভার্চুয়াল নাম্বার ব্যবহার করে ভেরিফাই করে ইমেল বানাতে পারবেন ও বিক্রি করতে পারবেন।

হ্যা অবশ্যই যার নিকট বিক্রি করবেন,তার নাম্বার সংযোজন করে দিবেন।কেননা সবাই পরবর্তীতে তাদের নাম্বার সংযোজন করতে পারবেনা।তখন সে বিপাকে পড়ে যেতে পারে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এভাবে ই-মেইল বিক্রি করতে পারবেন।
শর্ত হলো,যার নিকট ইমেইল আইডি বিক্রি করবেন,তার নাম্বার সংযোজন করে দিবেন।

তাহলে আপনার ইনকাম হালাল হবে।

আপনার কাছ থেকে ই-মেইল ক্রয় করে নিয়ে যদি কেউ কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়,তাহলে বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী এর গোনাহ বিক্রেতার উপর আসবে না।বরং গোনাহ সংশ্লিষ্ট /পরিচালকের উপর আসবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...