ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
لِّلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ يَخْلُقُ مَا
يَشَاءُ ۚ يَهَبُ لِمَن يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاءُ الذُّكُورَ.
أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا ۖ وَيَجْعَلُ مَن
يَشَاءُ عَقِيمًا ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ
তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা
পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা
বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। সূরা শুরা, আয়াত নং-৪৯,৫০
https://ifatwa.info/10304/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ
সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক
না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী
জেওর-১/২০৬)
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই
রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে।
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায়
করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করবে।
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের
হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে
হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ
يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا
الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ
الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ
الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা
আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া
থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি
[আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা
দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/7905/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সুরতে যেহেতু হায়েজ শেষ হয়েছে মনে
করেই সহবাসে লিপ্ত হয়েছে,তাই আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করতে হবে।
২. পিরিয়ডের সময় সহবাস করলে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা হয় এই কথাটি সঠিক নয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা
পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা
বন্ধ্যা করে দেন। আবার যাকে ইচ্ছা তাকে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা দেন। এটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা।
তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা যেনো একজন সুস্থ সন্তান দান করেন। বিশেষ করে মা যেনো সব ধরণে গোনাহ থেকে বিরত থাকেন। বেশী বেশী নফল ইবাদত ও
দুআ-যিকর এবং কুরআন তেলাওয়াত করতে থাকেন।