আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার পরিচিত একজনের পিরিয়ড সময় ৭ দিন মধ্যেই সব সময় শেষ হয়ে যায়.  মাস কয়েক আগে  সাত দিন শেষে মানে ৭ দিনের দিন রাতে যখন পিরিয়ড শেষ হয় ফরজ গোসল করে সে সহবাস করে।  সহবাস করার ৬/৭ ঘণ্টা আগে এক/ দুই ফোটা রক্ত পরেছিল, এর পরে আর কোন ধরনের রক্ত ছিল না বলে গোসল করে  সহবাস করে, এমন কি সহবাস করার পরও কোন ধরনের রক্ত প্রবাহিত হয় নি। কিন্তু তার প্রায় 9 ঘণ্টা পরে সকালের সময় চার-পাঁচ ফোঁটা রক্ত দেখা দেয়,  আর বিকালের দিকে ও হালকা ফোটা ফোটা  রক্ত দেখা দেয়  তারপর আর কোন রক্ত পড়েনি সম্পূর্ণ সুস্থ  হয়েগেছিল( ৮ম তম দিন)। যেহেতু তারা বাবু নেওয়ার চেষ্টা করছিল তাই স্বাভাবিক নিয়মে সুস্থ হওয়ার পরে বাবুর জন্য  চেষ্টা করেন। এক মাস পর জানতে পারেন সে অন্তঃসত্ত্বা। এখন তার প্রশ্ন যে,  অনেকেই বলে পিরিয়ডের সময় সহবাস করলে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা  হয়, এটার যুক্তিকতা কতটুকু ?

এর আগে কখনো এমন হয়নি।
যেহেতু  সময় অনুযায়ী সাত দিনের সময় পিরিয়ড শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সহবাসের ( সাবধানতা ছাড়া)   (৮/৯ ঘন্টা)  পর রক্ত যাওয়ায় তারা এখন এটা নিয়ে চিন্তিত,  আসলে কোন  ধরনের সমস্যা হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (59,490 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

لِّلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ ۚ يَهَبُ لِمَن يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاءُ الذُّكُورَ. أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا ۖ وَيَجْعَلُ مَن يَشَاءُ عَقِيمًا ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। সূরা শুরা, আয়াত নং-৪৯,৫০

 

https://ifatwa.info/10304/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

 

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 

উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।

(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করবে। 

 

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

 

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

,

বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/7905/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সুরতে যেহেতু হায়েজ শেষ হয়েছে মনে করেই সহবাসে লিপ্ত হয়েছে,তাই আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করতে হবে।

 

২. পিরিয়ডের সময় সহবাস করলে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা হয় এই কথাটি সঠিক নয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। আবার যাকে ইচ্ছা তাকে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা  দেন। এটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা। তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা যেনো একজন সুস্থ সন্তান দান করেন।  বিশেষ করে মা যেনো সব ধরণে গোনাহ থেকে বিরত থাকেন। বেশী বেশী নফল ইবাদত ও দুআ-যিকর এবং কুরআন তেলাওয়াত করতে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...