আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।

কোন ব্যক্তি বিভিন্ন সময় ফেসবুকে নাসিহাহ পূর্ণ লিখা শেয়ার করে বা মেসেঞ্জার গ্রুপে  ইসলামিক লেখা শেয়ার করে। ফরজ নামাজের পর যে আমল গুলো আছে সেগুলো ছাপিয়ে কয়েক জায়গায় বিলি করেছে। এখন  যেই লেখাগুলা সে পোস্ট করে, সেগুলো মেনে চলার  চেষ্টা এবং  নিয়ত  আছে। কিন্তু সব সময় হয়তো মানা হয় না। হয়তো সে তার পোস্ট করা কিছু নাসিহার কথা নিজেই ভুলে যায় সময়ের সাথে। আর ফরজ নামাজের পর আমলের নিয়ত থাকে। মাঝে মাঝে নিজের গাফিলতি অথবা ব্যস্ততার কারণে  আমলের কিছু কিছু বাদ যায় । এ আমল গুলো নফল বা সুন্নত , ফরজ নয়।
এখন  প্রশ্ন হল, সে যে অন্য মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দেন, কিন্তু নিজে মাঝে মাঝে সবগুলো  না করার কারণে কি গুনাহ হবে? এরকম শুনেছেন, যে ব্যক্তি ভালো কাজের আদেশ দিয়ে নিজে বেখবর থাকবে কিয়ামতের দিন তার ঠোঁট কাচি দিয়ে কাটা হবে। ফেসবুকে অথবা বাস্তবে ভালো কাজের আদেশ অথবা বাস্তবে আদেশের ক্ষেত্রে  কিভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে কাজগুলো করা উচিত একটু বিস্তারিত বলবেন দয়া করে।
জাযাকুমুল্লাহু খইরন।।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
«الْعَدَالَةُ: وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي هَذَا الشَّرْطِ، فَاعْتَبَرَهَا قَوْمٌ، وَقَالُوا: لَيْسَ لِلْفَاسِقِ أَنْ يَأْمُرَ وَيَنْهَى، وَاسْتَدَلُّوا بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ} (١) . وقَوْله تَعَالَى: {كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ} (٢) . وَقَال آخَرُونَ: لَا تُشْتَرَطُ فِي الأَْمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ الْعِصْمَةُ مِنَ الْمَعَاصِي كُلِّهَا، وَإِلَاّ كَانَ خَرْقًا لِلإِْجْمَاعِ، وَلِهَذَا قَال سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: إِذَا لَمْ يَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ إِلَاّ مَنْ لَا يَكُونُ فِيهِ شَيْءٌ لَمْ يَأْمُرْ أَحَدٌ بِشَيْءٍ. وَقَدْ ذُكِرَ ذَلِكَ عِنْدَ مَالِكٍ فَأَعْجَبَهُ.
وَاسْتَدَل أَصْحَابُ هَذَا الرَّأْيِ بِأَنَّ لِشَارِبِ الْخَمْرِ أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيل اللَّهِ، وَكَذَلِكَ ظَالِمُ الْيَتِيمِ، وَلَمْ يَمْنَعُوا مِنْ ذَلِكَ لَا فِي عَهْدِ الرَّسُول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا بَعْدَهُ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (6/ 249)
মর্মার্থ- ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করার জন্য কি বেগুনাহ বা আদিল হওয়া শর্ত?  এসম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে, একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, ফাসিক বা গোনাহগার কখনো কাউকে সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করতে পারবে না। তাদের দলীল সুরায়ে বাকারার ৪৪ নং আয়াত। “তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না” এবং সূরায়ে সফের ৩ নং আয়াত “তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।”
অন্যদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করার জন্য সকল প্রকার গোনাহ থেকে পরিত্রাণ হওয়া জরুরী নয়। জরুরী বলাটা ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/15704

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে ভালো কাজের আদেশ দিয়ে সর্বদা নিজের আ'মলে নিয়ে আসা প্রত্যেক দাঈর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হ্যা, বিশেষ কোনো প্রয়োজনে উক্ত ভালো কাজ নিজে ভুলে গেলে বা আ'মলে নিয়ে না আসলে কোনো গোনাহ হবে না।তবে যিনি দাওয়াত দিবেন উনার উচিৎ,তিনি যেন ঐ কাজ নিজের আমলে পরিণত করার নিয়তে অন্যকে দাওয়াত দেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...