জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে নামাজ রোযার দিক থেকে হায়েজা মহিলার হুকুম এবং নেফাস ওয়ালা মহিলার হুকুমও একই।
হায়েজ ও নিফাছ অবস্থায় মেয়েদের জন্য ওয়াজিব হল রোযা বর্জন করা। এ অবস্থায় নামাজ ও রোযা কোনটাই আদায় করা জায়েয হবে না। সুস্থতার পর তাদের রোযার কাজা আদায় করতে হবে। নামাজের কাজা আদায় করতে হবে না।
,
যখন নিফাস,ঋতু স্রাব বন্ধ হবে তখন রাখবে। যতগুলো রোযা ঋতু স্রাবের কারণে রাখতে পারেনি। তা রমজান শেষে পবিত্র অবস্থায় কাযা করে নিতে হবে।[ফাতাওয়া শামী, সওম অধ্যায়]
হাদীসে এসেছে :
عن عائشة رضي الله عنها أنها سئلت : هل تقضي الحائض الصوم والصلاة؟ فقالت : كنا نؤمر بقضاء الصوم ولا نؤمر بقضاء الصلاة. متفق عليه.
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হল হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি সালাত ও সাওমের কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন : ‘‘এ অবস্থায় আমাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সালাতের নয়।’’ [বুখারী ও মুসলিম]
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ، فَذَلِكَ نُقْصَانُ دِينِهَا»
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হায়েজা মহিলা নামায পড়বে না এবং রোযা রাখবে না, এটা কি ঠিক নয়? আর এটাই তাদের দ্বীনের ত্রুটি। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৫১]
عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ: مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ، وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ. فَقَالَتْ: أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ؟ قُلْتُ: لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ، وَلَكِنِّي أَسْأَلُ. قَالَتْ: «كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ، فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ، وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلَاةِ»
হযরত মুআজা বলেন, আমি আয়শা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম-হায়েজার হুকুম কী? সে কি রোযার কাযা করবে? নামাযের কাযা করবে না? আম্মাজান বললেন- তুমি হারুরিয়ার অধিবাসী? আমি বললাম- নাহ।আমিই প্রশ্ন করছি। তিনি বললেন- “আমাদের এমন হলে, আমাদের রোযার কাযার আদেশ দেয়া হতো, কিন্তু নামাযের কাযার নির্দেশ দেয়া হতো না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৩৫]