ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮)
যে কোনো জিনিষের মান্নত ওয়াজিব হবে না অর্থাৎ মান্নত করলেই যে শুধু ওয়াজিব হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। বরং কুরবতে মাকসুদাহ তথা ইবাদত হিসেবে গণ্য এমন কোনো জিনিষের মত কিছু দ্বারা মান্নত করতে হবে, তবেই তা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে।
الْأَصْلُ أَنَّ النَّذْرَ لَا يَصِحُّ إلَّا بِشُرُوطٍ (أَحَدُهَا) أَنْ يَكُونَ الْوَاجِبُ مِنْ جِنْسِهِ شَرْعًا فَلِذَلِكَ لَمْ يَصِحَّ النَّذْرُ بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ. (وَالثَّانِي) أَنْ يَكُونَ مَقْصُودًا لَا وَسِيلَةً فَلَمْ يَصِحَّ النَّذْرُ بِالْوُضُوءِ وَسَجْدَةِ التِّلَاوَةِ. (وَالثَّالِثُ) أَنْ لَا يَكُونَ وَاجِبًا فِي الْحَالِ، وَفِي ثَانِي الْحَالِ فَلَمْ يَصِحَّ بِصَلَاةِ الظُّهْرِ وَغَيْرِهَا مِنْ الْمَفْرُوضَاتِ هَكَذَا فِي النِّهَايَةِ (وَالرَّابِعُ) أَنْ لَا يَكُونَ الْمَنْذُورُ مَعْصِيَةً بِاعْتِبَارِ نَفْسِهِ هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/375
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কুরআন তিলায়াত খতমের মান্নত করেছিলেন, এটা আপনার উপর ওয়াজিব। এই ওয়াজিব পালনের যথাসাধ্য চেষ্টা আপনাকে করতে হবে। যদি আপনি নিতান্তই অপারগ হয়ে যান, তখন আপনি অন্য কারো দ্বারা এই মান্নতকে পূর্ণ করে নিবেন। চায় বিনিময় প্রদাণ করেই হোক না কেন। অথবা ওয়ারিছদেরকে ওসিয়ত করে যাবেন। এজন্য নির্দিষ্ট কোনো কাফফারা নাই, বরং কুরআন তিলাওয়াত নিজে করতে হবে বা অন্যর মাধ্যমে করিয়ে নিতে হবে।