আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
"মেয়েদের জন্য কি জিন্স বা গেবার্ডিন কাপড় এর পোশাক হারাম?এখন মেয়েদের অনেক পোশাক জিন্স বা গেবার্ডিন কাপড় এ তৈরি যেমন জিন্স এর ঢোলা পায়জামা বা পালাজ্জো, কটি, গাউন এমনকি শীতের সময় পড়ার জন্য জ্যাকেট।আর যদি জিন্স বা গেবার্ডিন কাপড় এর পোশাক মেয়েদের জন্য হারাম হয় তাহলে যেসকল দেশ শীতপ্রধান সেসকল দেশের মেয়েদের কি করা উচিত?"

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলাম এমন আঁটসাট পোশাক নিষেধ করে, যা পরিধান করলে সতরের আকৃতি স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। কেননা, পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পরিপূর্ণভাবে সতর ঢাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا

‘হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)

আর জিন্স প্যান্ট পোশাকের এই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ বিধায় এ ধরনের পোশাক পরিধান করা জায়েয হবে না। কেননা, এটা অনস্বীকার্য যে, জিন্স প্যান্ট অধিক আঁটশাট হওয়ার কারণে পরিধানকারীর সতরের আকৃতি পোশাকের উপরে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।

আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, প্যান্ট অমুসলিমদের পোশাক কিনা এবং এটা পরিধান করা জায়েয হবে কিনা; উত্তরে তাঁরা বলেছেন,

الأصل في الملابس أنها جائزة، إلا ما استثناه الشرع مطلقا؛ كالذهب للرجال، وكالحرير لهم، ولبس البنطلون ليس خاصا بالكفار، لكن لبس الضيق منه الذي يحدد أعضاء الجسم حتى العورة لا يجوز

পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, শরিয়ত সাধারণত যেগুলোকে বর্জন করেছেযেমন, পুরুষদের জন্য সোনা এবং রেশমের পোশাক পরিধান করাসেগুলো ব্যতীত সকল পোশাক বৈধ। আর প্যান্ট পরিধান করা অমুসলিমদের নিজস্বতা নয়। তবে জিন্স প্যান্ট যা দেহের অঙ্গগুলোকে-এমনকি সতরকেও ফুটিয়ে তোলে তা পরিধান করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়া আললাজনাতুদ দায়িমা ৪২৫৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/ বোন!

কোন মহিলা যদি মহিলাদের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে তৈরি কৃত জিন্সের প্যান্ট বা টিশার্ট পরিধান করে আর তা বোরকা বা জিলবাব দ্বারা পরিপূর্ণভাবে ঢাকা থাকে তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। কেননা এতে পুরুষদের সাথে সাদৃশ্য থাকছে না। তাছাড়া সে তা বোরকার নিচে পরিধান করেছে। বরং এতে দ্বিগুণ পর্দা হল। উপরে বোরকা তার নিচে অন্য পোশাক।

তবে পুরুষদের সাদৃশ্যপূর্ণ পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, হাদিস শরিফে এমন সাদৃশ্যপূর্ণ পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উলামায়ে কেরামগন এটিকে পুরুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ  হিসেবেই বিবেচনা করেন। 

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ "দলীলভিত্তিক ইসলামী পোষাকhttps://ifatwa.info/1036/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...