بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
ইসলাম এমন আঁটসাট পোশাক নিষেধ করে,
যা পরিধান করলে সতরের আকৃতি স্পষ্টভাবে
ফুটে ওঠে। কেননা, পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পরিপূর্ণভাবে সতর ঢাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ
أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا
‘হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ
করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)
আর জিন্স প্যান্ট পোশাকের এই উদ্দেশ্য
পূরণে ব্যর্থ বিধায় এ ধরনের পোশাক পরিধান করা জায়েয হবে না। কেননা,
এটা অনস্বীকার্য যে,
জিন্স প্যান্ট অধিক আঁটশাট হওয়ার কারণে
পরিধানকারীর সতরের আকৃতি পোশাকের উপরে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।
আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, প্যান্ট অমুসলিমদের পোশাক কিনা এবং এটা পরিধান করা জায়েয হবে কিনা;
উত্তরে তাঁরা বলেছেন,
الأصل في الملابس أنها جائزة،
إلا ما استثناه الشرع مطلقا؛ كالذهب للرجال، وكالحرير لهم، ولبس البنطلون ليس خاصا
بالكفار، لكن لبس الضيق منه الذي يحدد أعضاء الجسم حتى العورة لا يجوز
পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে মূলনীতি
হল, শরিয়ত সাধারণত যেগুলোকে বর্জন করেছে–যেমন,
পুরুষদের জন্য সোনা এবং রেশমের পোশাক
পরিধান করা–সেগুলো ব্যতীত সকল পোশাক বৈধ। আর প্যান্ট পরিধান
করা অমুসলিমদের নিজস্বতা নয়। তবে জিন্স প্যান্ট যা দেহের অঙ্গগুলোকে-এমনকি সতরকেও ফুটিয়ে
তোলে তা পরিধান করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়া আললাজনাতুদ দায়িমা ৪২৫৭)
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/
বোন!
কোন মহিলা যদি মহিলাদের উদ্দেশ্যে
বিশেষভাবে তৈরি কৃত জিন্সের প্যান্ট বা টিশার্ট পরিধান করে আর তা বোরকা বা জিলবাব দ্বারা
পরিপূর্ণভাবে ঢাকা থাকে তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। কেননা এতে পুরুষদের সাথে সাদৃশ্য
থাকছে না। তাছাড়া সে তা বোরকার নিচে পরিধান করেছে। বরং এতে দ্বিগুণ পর্দা হল। উপরে
বোরকা তার নিচে অন্য পোশাক।
তবে পুরুষদের সাদৃশ্যপূর্ণ পোশাক পরিধান
করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, হাদিস শরিফে এমন সাদৃশ্যপূর্ণ পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করা হয়েছে। উলামায়ে কেরামগন এটিকে পুরুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হিসেবেই বিবেচনা করেন।
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ "দলীলভিত্তিক ইসলামী পোষাক” https://ifatwa.info/1036/