ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাথার একদিকে চুল ফেলে দিয়ে অন্যদিকে চুল রেখে দেওয়া নাজায়েজ তা নিম্নোক্ত হাদীস সমূহ থেকে অত্যান্ত সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে।
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻧَﻬَﻰ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﻘَﺰَﻉِ ) ، ﻗﺎﻝ ﻧﺎﻓﻊ – ﺃﺣﺪ ﺭﻭﺍﺓ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ – ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﻘﺰﻉ : ﻳُﺤْﻠَﻖُ ﺑَﻌْﺾُ ﺭَﺃْﺱِ ﺍﻟﺼَّﺒِﻲِّ ﻭَﻳُﺘْﺮَﻙُ ﺑَﻌْﺾٌ .
তরজমাঃ- হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে,নবী কারীম সাঃএকটি শিশুর মাথার এক অংশের চুল ফেলে দিয়ে অন্য অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন।(সহীহ বুখারী- ৫৯২১,সহীহ মুসলিম-২১২০)
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺭَﺃَﻯ ﺻَﺒِﻴًّﺎ ﺣَﻠَﻖَ ﺑَﻌْﺾَ ﺭَﺃْﺳِﻪِ ﻭَﺗَﺮَﻙَ ﺑَﻌْﻀًﺎ ﻓَﻨَﻬَﻰ ﻋَﻦْ ﺫَﻟِﻚَ ، ﻭَﻗَﺎﻝَ : ( ﺍﺣْﻠِﻘُﻮﻩُ ﻛُﻠَّﻪُ ﺃَﻭْ ﺍﺗْﺮُﻛُﻮﻩُ ﻛُﻠَّﻪُ )
তরজমাঃ-হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাঃ একবার একটি ছোট বালককে দেখলেন যে তার অর্ধেক মাথায় চুল মুন্ডিত এবং অর্ধেক মাথায় চুল অবশিষ্ট রয়েছে, তখন নবী কারীম সাঃএত্থেকে নিষেধ করে বললেনঃহয়তো তুমি সারা মাথা মুন্ডিয়ে ফেল নতুবা সমস্ত চুল রেখে দাও।(ইমাম আলবানী রহ ইহাকে সহীহ বলেছেন)(সুনানু নাসায়ী-৫০৪৮,সুনানু আবি-দাউদ-৪১৯৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3411
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চুল রাখা তিন ত্বরিকার একটি ত্বরিকা হল, সকল দিক সমান করে চুল কর্তন করা ও রাখা। এখানে বাহ্যিক দৃষ্টিতে সকল দিন সমান থাকা বাঞ্চনীয়। দূর থেকে কোনো এক দিকে এত বেশী মনে হওয়া যা দৃষ্টিকটু, এমনটা গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং সকল দিক সমান থাকতে হবে। হ্যা, কোনো একদিকে সামান্য একটু বেশী চুল হলে, আর সেটা দৃষ্টিকটু না হলে, হারামের আওতায় আসবে না। আপনি যে পদ্ধতির চুলের কথা বলছেন, সেটা পরিস্কার হারাম না হলেও সেটাকে কখনো উত্তম বলা যাবে না।বরং উত্তম হল সেই চুল, যে চুলের সকল দিক পুরোপুরি সমান থাকবে।