আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। আমার মাঝে মাঝে সাদা স্রাব হয়। স্রাব সবসময় গড়িয়ে পরে না। কখনো কখনো স্রাব বের হয় কিন্তু লজ্জ স্থানের ভিতর পর্যন্ত ই অবস্থান করে। এইক্ষেত্রে কি আমার ওযু ভেঙে যাবে? আর সাদা স্রাব চলাকালীন নামাজের বিধান কি? যেই ওয়াক্তে স্রাব হবে ঐ ওয়াক্তের নামাজ কি পরতে পারবো নাকি অপেক্ষা করবো? আমি এই বিষয়ে একদমই অজ্ঞ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।

মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।
তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
যদি স্রাব লজ্জাস্থানের ভিতরে থাকে, তাহলে সেই স্রাব দ্বারা নামায ভঙ্গ হবে না। এবং অজুও ভঙ্গ হবে না।  তবে লজ্জাস্থানের বাহিরে চলে আসলে অজু ভঙ্গ হবে ।
সাদাস্রাব বের হওয়ার পর যদি লজ্জাস্থানকে টিস্যু দ্বারা মুছা হয়, পানি দ্বারা ধৌত করা না হয়, তাহলেও পবিত্রতা অর্জিত হবে। সাদাস্রাব নিয়ে অপেক্ষার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই, বরং নামাযের সময় হলেই নামায পড়ে নিতে হবে। নামাযের পর চেক করে দেখে নিতে হবে যে, সাদাস্রাব নির্গত হয়েছে কি না? যদি নামাযের ছোট ওয়াক্ত তথা আছর বা মাগরিবের ওয়াক্তে এমনভাবে সাদাস্রাব নির্গত হয় যে, দুই রাকাত নামায সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতিত পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবে। এক ওয়াক্তে একবার অজু করে সেই অজু দ্বারা যত নামায সম্ভব ঐ ওয়াক্তের ভিতর পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 172 views
...