ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।
মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।
তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
যদি স্রাব লজ্জাস্থানের ভিতরে থাকে, তাহলে সেই স্রাব দ্বারা নামায ভঙ্গ হবে না। এবং অজুও ভঙ্গ হবে না। তবে লজ্জাস্থানের বাহিরে চলে আসলে অজু ভঙ্গ হবে ।
সাদাস্রাব বের হওয়ার পর যদি লজ্জাস্থানকে টিস্যু দ্বারা মুছা হয়, পানি দ্বারা ধৌত করা না হয়, তাহলেও পবিত্রতা অর্জিত হবে। সাদাস্রাব নিয়ে অপেক্ষার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই, বরং নামাযের সময় হলেই নামায পড়ে নিতে হবে। নামাযের পর চেক করে দেখে নিতে হবে যে, সাদাস্রাব নির্গত হয়েছে কি না? যদি নামাযের ছোট ওয়াক্ত তথা আছর বা মাগরিবের ওয়াক্তে এমনভাবে সাদাস্রাব নির্গত হয় যে, দুই রাকাত নামায সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতিত পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবে। এক ওয়াক্তে একবার অজু করে সেই অজু দ্বারা যত নামায সম্ভব ঐ ওয়াক্তের ভিতর পড়া যাবে।