আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (108 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

কোনো মেয়ের অসম্মতিতে যদি তাকে তার বাবা বিয়ে দেয় এখন সে কাজীর নিকট মামলা করতে চায়,এক্ষেত্রে বিয়ের রাতেই বাসর ঘরে স্বামীকে সে মেয়ে জানিয়ে দেয় যে এই বিয়েতে তার মত কোনো ভাবেই নেই।সেই স্বামী যেন তাকে না ছোয়।আর যতদিন আদালতে বিয়ে ভেংংগে না দেয়  মানে মামলা নিষ্পত্তি না হয় ততদিন যাতে তাকে স্পর্শ না করে তখনো তারপরেও স্বামী যদি জোরপূর্বক তার সাথে সহবাস করে তাহলে স্বামী কি গুনাহগার হবে? এবং স্বামীর শাস্তি কি হবে

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাবালক মেয়ের অসম্মতিতে বাবা জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলে, যেহেতু এখানে কনে ইজাব কবুল করে নিয়েছেন,এবং সাক্ষীগণও উপস্থিত ছিলেন, তাই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গেছে।

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين، 
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)

যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ এ সম্পর্কে বলেনঃ
(قَوْلُهُ: وَشُرِطَ حُضُورُ شَاهِدَيْنِ) أَيْ يَشْهَدَانِ عَلَى الْعَقْدِ، أَمَّا الشَّهَادَةُ عَلَى التَّوْكِيلِ بِالنِّكَاحِ فَلَيْسَتْ بِشَرْطٍ لِصِحَّتِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عَنْ الْبَحْرِ،
দুজন সাক্ষী মজলিসে উপস্থিত থাকা শর্ত।
অর্থাৎ যারা মজলিসে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে।বিবাহের উকিল নিযুক্ত করণের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।(রদ্দুল মুহতার-৩/২১;) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2679

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখন স্ত্রীর জন্য স্বামীকে বাধা দেওয়াও জায়েয হবে না।এবং স্বামী জোর করে সহবাস করলে, সেজন্য স্বামীর কোনো গোনাহও হবে না। মেয়ের অসম্মতি থাকা সত্তেও কেন বাবা জোর করে বিয়ে দিলেন, সেজন্য বাবার গোনাহ হবে।উনাকে এর জবাবদিহিতা করতে হবে।দুনিয়াতে ও আখেরাতে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...