ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাবালক মেয়ের অসম্মতিতে বাবা জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলে, যেহেতু এখানে কনে ইজাব কবুল করে নিয়েছেন,এবং সাক্ষীগণও উপস্থিত ছিলেন, তাই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গেছে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين،
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ এ সম্পর্কে বলেনঃ
(قَوْلُهُ: وَشُرِطَ حُضُورُ شَاهِدَيْنِ) أَيْ يَشْهَدَانِ عَلَى الْعَقْدِ، أَمَّا الشَّهَادَةُ عَلَى التَّوْكِيلِ بِالنِّكَاحِ فَلَيْسَتْ بِشَرْطٍ لِصِحَّتِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عَنْ الْبَحْرِ،
দুজন সাক্ষী মজলিসে উপস্থিত থাকা শর্ত।
অর্থাৎ যারা মজলিসে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে।বিবাহের উকিল নিযুক্ত করণের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।(রদ্দুল মুহতার-৩/২১;) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2679
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখন স্ত্রীর জন্য স্বামীকে বাধা দেওয়াও জায়েয হবে না।এবং স্বামী জোর করে সহবাস করলে, সেজন্য স্বামীর কোনো গোনাহও হবে না। মেয়ের অসম্মতি থাকা সত্তেও কেন বাবা জোর করে বিয়ে দিলেন, সেজন্য বাবার গোনাহ হবে।উনাকে এর জবাবদিহিতা করতে হবে।দুনিয়াতে ও আখেরাতে।