আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
★আমার নিকট আত্মীয় ব্যাংকার এবং বিভিন্ন ভাবে সরাসরি সুদের উপর চলমান কিন্তু তারা নিকট আত্মীয় হওয়ায় তাদের বাসায় ছোট বেলা থেকে আসা যাওয়া ছিলো এবং এখনো আছে। হারাম উপার্জনকারীর দেওয়া হাদিয়া গ্রহন এবং দেওয়া খাবার খাওয়াও নাজায়েজ এটা আগে জানা ছিলো না,এখন জানতে পেরে খাই না যদিও খেলে সদকা করে দেই তাও খেতে চাই না। যার ফলে ঝামেলায় পরতে হয়। গত দুই দিন খালার বাসায় গিয়ে কিছুই খাই নি।  যার জন্য খালামনিও বিভিন্ন কথা বলেন।মামার বাসায় যাই না অনেক দিন হলো।

এই দিকে আমি যদি নিজের কথা বলি আমার নেসাব পরিমানের সম্পদ নেই,বালেগ হবার পরেও ছিলো না। এখন এই বিবেচনায়,আমি নেসাব মালের অধিকারী হওয়ার আগে পযন্ত,

১. তাদের দেওয়া খাবার ও হাদিয়া গ্রহন আমার জন্য জায়েজ হবে কি? যা তারা মেহমানদারি, বা স্বাভাবিক ভাবে হিসাবে খাওয়ান।

২. এগুলো খেলে আমার কি আবার সদকা করতে হবে?

৩. আগে বাচ্চাকাল থেকে যা যা খেয়েছি/হাদিয়া পেয়েছি সেগুলোর কি সাদকা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع 
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1900


وَيَرُدُّونَهَا عَلَى أَرْبَابِهَا إنْ عَرَفُوهُمْ، وَإِلَّا تَصَدَّقُوا بِهَا لِأَنَّ سَبِيلَ الْكَسْبِ الْخَبِيثِ التَّصَدُّقُ إذَا  تَعَذَّرَ الرَّدُّ عَلَى  صَاحِبِهِ اهـ
হারাম মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি মালিক জানা যায়, নতুবা সদকাহ করতে হবে। কেননা হারাম মালের একমাত্র রাস্তা সদকাহ করা যদি তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেয়া অসম্ভব হয়।
(রদ্দুল মুহতার-৬/৩৮৫)
(কিতাবুন নাওয়াযিল-১১/৩৪৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল না থাকলে আপনি ঐ হারাম মাল থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু যদি ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল না থাকে, অন্যদিকে আপনার নিকট অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি ঐ হারাম মাল থেকে ক কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।

মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434

সুতরাং
( ১)
যেহেতু আপনার নেসাব পরিমাণ মাল নেই, তাই আপনার জন্য তাদের দাওয়াত/খাবার গ্রহণ করার রুখসত রয়েছে।
(২)
সদকাহ করতে হবে না।
(৩)
সদকাহ করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,050 points)
উত্তর তো দেয়াই হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...