ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/226
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত তাবিজ বা শরীরে যে কাপড় বুলিয়ে দেয়া হবে, সেই কাপড়ে যদি কুরআর সুন্নাহ বিরোধী বা শিরকি কিছু লিখা থাকে, তাহলে অবশ্যই গোনাহ হবে।এরজন্য অবশ্যই তাওবাহ করতে হবে। নতুবা কোনো গোনাহ হবে না।
(২) কুরিয়ার সার্ভিসে কুরআন নিয়ে আসা এবং নিয়ে এসে দেড়ীতে রিসিভ করা কোনোটাই কাম্য নয়। উচিৎ হয়নি। তবে এরজন্য আপনার আপাতত গোনাহ হচ্ছে না।হ্যা, আপনাকে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে হবে।
(৩) অজু ব্যতিত কুরআন স্পর্শ করা গোনাহ।তবে ঈমান চলে যাবে না।বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।