ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) বিস্তারিত জানুন-১৪১১
যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরো জানুনঃ-
যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে সক্ষম,তার জন্য বসে বসে ফরয বা ওয়াজিব নামায পড়া জায়েয হবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৪৮৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মায়ের নামাজ হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে আপনার মায়ের জন্য করনীয় হলো দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করবে,সামান্য ঝুকে রুকু সেজদাহ আদায় করবে।
দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা অবস্থায় চাইলে রুকু সেজদার সময় চেয়ারে বসতেও পারে।
এভাবে টেবিলে সেজদাহ করবেনা।
বরং ইশারা করে সেজদাহ দিবে।
রুকুর ইশারার তুলনায় সেজদায় ইশারার সময় মাথা একটু (সামান্য হলেও) বেশি ঝুকাবে।
,
ইশারায় সিজদার সময় সামনে কোন টেবিল, বালিশ বা অন্য কিছু রেখে তাতে সিজদা করবে না। বরং শুধু মাথা দ্বারা ইশারাই করবে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن جابر بن عبد الله رضي الله عنه أنَّ النبيَّ ﷺ عاد مريضًا فرآهُ يصلي على وسادةٍ فأخذها فرمى بها فأخذ عودًا ليُصلي عليهِ فأخذَه فرمى بهِ وقال صَلِّ على الأرضِ إنِ استطعتَ وإلا فأَوْمِئْ إيماءً واجعل سجودكَ أخفضَ من ركوعِكَ
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ একজন রোগী দেখতে গেলেন। তিনি তাকে একটি বালিশের উপর সিজদা করতে দেখলেন। তিনি তা (বালিশ) নিয়ে সরিয়ে রাখলেন। অতঃপর লোকটি একটি কাঠের টুকরা নিল তার উপর সিজদার জন্য। রাসূলুল্লাহ ﷺ তা নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তুমি সক্ষম হলে জমিনের উপর সিজদা করবে অন্যথায় ইশারা করবে। আর তোমার সিজদা রুকু থেকে বেশি ঝুঁকিয়ে করবে। (সুনানে বাইহাক্বী ৩৪৮৪)
(০২)
ছেলেদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পাত্রের সামনে চেহারা খুলবে,মেয়েদের সামনে তো সকলের সামনেই চেহারা খুলতে পারবে।
পাত্র পক্ষের পাত্র ব্যাতিত অন্যান্য পুরুষ সদস্যদের সামনে চেহারা খোলা যাবেনা।
পূর্ণ পর্দা করতে হবে।
এই কারণে মা- বাবা অসন্তুষ্ট থাকলে ঐ মেয়ের গুনাহ হবেনা।
বাবা মায়েরই গুনাহ হবে।
তার জন্য করণীয় হলো বাবা মাকে পূর্ণ পর্দার বুঝানো,
আল্লাহর কাছে খাছ করে দোয়া করতে হবে,যাতে দ্বীনদার পাত্রের সাথে দ্রুত বিবাহ হয়।
(০৩)
নিম্নের দোয়া করতে পারেনঃ-
اللَّهُمَّ حسَّنَت خَلقي فأحسِنْ خُلقي»
“হে আল্লাহ্ আপনি আমার অবয়বকে সুন্দর করেছেন; সুতরাং আমার চরিত্রকেও সুন্দর করুন।
বিস্তারিত জানুনঃ-