আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

আসসালামু আলাইকুম আমার স্ত্রী জিন সয়তান দারা আক্রান্ত। তিনি কুরানের হাফেজা। এর আগেও এই বিষয়ে আমি প্রশ্ন করেছিলাম। তো সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আমি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যাই কবিরাজ বা মাদ্রাসার শিক্ষক বলা যেতে পারে তাকে তিনি মহতামিম একটা মাদ্রাসার পাবনা, সাথীয়ার।

চিকিৎসার খাতিরে তিনি ঝার ফুক করলেন, তেল, পানি, কালোজিরা আরও অন্নান্য জিনিস পরে দিলেন ব্যাবহার এর জন্য। এবং আরও ২ টা তাবিজ দিয়েছেন।

এই পরজন্ত মোটামোটি ঠিক ছিলো। যদিও তাবিজ আমার পছন্দ না ব্যাক্তিগত ভাবে। কিন্তু তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আমার স্ত্রির আগামি ৩-৫ মাস কুরান পরা যাবে না। শুধু ফরজ আর সুন্নাত নামাজ পরতে হবে। বাকি সব গোপন (তাহাজ্জুদ) এবং নফল ইবাদত বন্ধ রাখতে হবে। জিন নাকি নফস এর সাথে মিসে গেছে অনেক। তাই তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই পরামর্শ। এমন কি শুধু তাদের দেওয়া কিছু আমল ব্যাতিত সকাল সন্ধার সকল মাস নুন আমল বন্ধ রাখতে বলছে। তিনি নাকি মুফতি ও। তাই আমি দিধা দন্দে আছি এই পরামর্শ তে। আমি এখন কি করবো?

আমার এই উপদেশ একটুও পছন্দ হয় নি। আল্লাহর কালাম র হাদিসের দোয়া পরাতে কেনো বাধা আসবে? আবার এইগুলো করলে ক্যানই বা জিন আর নিজের মদ্ধে কন্ট্রল করা যাবে না!

দয়া করে সঠিক উপদেশ দিবেন। খুব ই পেরেশানি তে আছি।

জাজাকাল্লাহ খাইরান। <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_220821_154156_270.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়য়ের বিধি-বিধানকে তরক করার জন্য মাতাপিতা সহ কারো আদেশকে মান্য করা যাবে না।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়া'ক্বাদা। সুতরাং কোনো প্রকার ক্ষতির আশংকা ব্যতীত মাতাপিতা যদি তার সুস্থ সবল বালেগ সন্তানকে মসজিদে যেতে বারণ করে, তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।
(সহীহ বুখারী-১/২৩০)

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নফল ইবাদাত কম করা বা বন্ধ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

ইবাদতের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সাহায্য আসবে,ইবাদত বন্ধ রেখে আল্লাহর সাহায্য বোকামি বৈ কিছুই নয়।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নফল ইবাদত চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে।

যদি শেষ রাতে বা গভীর রাতে আপনার স্ত্রী তাহাজ্জুফ পড়ে,তবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় সে যেনো একাকী জেগে না থাকে,আপনিও তার সাথে জেগে থাকার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খাইরন হযরত। 

ইনশা-আল্লাহ আমি সকল ইবাদাত চালিয়ে যাবো। আর আমি কি তাহলে তার দেওয়া চিকিৎসা চালিয়ে যাবো?

আর আপনার জানামতে এই ধরনের কোন চিকিৎসক আছে কি যিনি কুরান হাদিস অনুযায়ী জিনের চিকিৎসা করে। থাকলে একটু তথ্য দিবেন। সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকিবো ইনশা-আল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 313 views
...