জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়য়ের বিধি-বিধানকে তরক করার জন্য মাতাপিতা সহ কারো আদেশকে মান্য করা যাবে না।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়া'ক্বাদা। সুতরাং কোনো প্রকার ক্ষতির আশংকা ব্যতীত মাতাপিতা যদি তার সুস্থ সবল বালেগ সন্তানকে মসজিদে যেতে বারণ করে, তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।
(সহীহ বুখারী-১/২৩০)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নফল ইবাদাত কম করা বা বন্ধ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইবাদতের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সাহায্য আসবে,ইবাদত বন্ধ রেখে আল্লাহর সাহায্য বোকামি বৈ কিছুই নয়।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নফল ইবাদত চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে।
যদি শেষ রাতে বা গভীর রাতে আপনার স্ত্রী তাহাজ্জুফ পড়ে,তবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় সে যেনো একাকী জেগে না থাকে,আপনিও তার সাথে জেগে থাকার চেষ্টা করবেন।