জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ফরজ গোসলে যদি ভুলে কোনো অঙ্গ ধোয়া না হয়,তাহলে স্বরন হওয়ার পর শুধু উক্ত অঙ্গই ধৌত করতে হবে।
,
উক্ত অঙ্গ ধৌত করার পূর্বে কোনো নামাজ আদায় করে থাকলে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
اللباب في الجمع بين السنة والكتاب
(1/ 129)
"وعنه: عن ابن عباس رضي الله عنه قال: " إذا نسي المضمضة والاستنشاق إن كان جنباً أعاد المضمضة والاستنشاق واستأنف الصلاة ". وكذلك قال ابن عرفة، وإلى هذا ذهب الثوري رحمه الله تعالى".
সারমর্মঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন যদি কেহ জানাবতের গোসলের মধ্যে কুলি,নাকে পানি দেওয়া ভুলে যায়,তাহলে পুনরায় কুলি,নাকে পানি দিবে।
নামাজটি পুনরায় আদায় করবে।
الأصل للشيباني ط قطر (1/ 32):
"قلت: أرأيت رجلاً توضأ ونسي المضمضة والاستنشاق أو كان جُنُباً فنسي المضمضة والاستنشاق ثم صلى؟ قال: أمّا ما كان في الوضوء فصلاته تامة، وأمّا ما كان في غُسل الجنابة أو طُهر حيض فإنه يتمضمض ويستنشق ويعيد الصلاة. قلت: من أين اختلفا؟ قال: هما في القياس سواء، إلا أنّا نَدَعُ القياس للأثر الذي جاء عن ابن عباس".
সারমর্ম,
যদি সেটি (কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া ভুলে যাওয়া) জানাবতের গোসলের ক্ষেত্রে হয়, তাহলে পুনরায় কুলি,নাকে পানি দিবে।
নামাজটি পুনরায় আদায় করবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফরজ গোসল পূর্ণ হবেনা।
এক্ষেত্রে শরীরের যেই জায়গায় লোমের সাথে শুকিয়ে যাওয়া বীর্য লেগে আছে,সেই স্থান ভালোভাবে ডলে ধুয়ে পাক করতে হবে।
তাহলেই গোসল পূর্ণ হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে সালাত আদায় করে ফেললে উক্ত সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে।
উক্ত ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা,তবে অনিচ্ছাকৃত এই ভূলের দরুন আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
(০২)
মূল জামায়াতের আগে কোনো জামায়াত মসজিদের ভিতরে করা যাবেনা।