আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
edited by
https://www.ifatwa.info/52249

শায়ক এটা পূর্ব প্রশ্নের লিংক।একানে পুরো ঘটনা উল্লেখ করেছি।

শায়খ এখানে বলেছি যে তালাকের মাসয়ালা বলতে গিয়ে আমার স্বামী আমাকে ওভাবে বলেছে "মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম।এর পরের মাসে যদি না দি তখন আমি অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য বলি যদি কেউ তার স্ত্রীকে না দেয় সাথে সাথে সেও বলে যদি না দেয়। এরপরের মাসে যদি না দেয়(এখানে আমি অন্য স্বামী স্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বলার সে যতোটুকু কথা বলছে আমার মনে হয় সেও অন্যদের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে তাও লাস্ট বাক্যটা নিয়ে একটু সন্দেহ হচ্ছে অন্যদের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে কিনা) তাহলে এমনিতে তালাক হয়ে যাবে।"

শায়খ আমি ৭/৮ মাস আগে ঘটনাটা ঘটার সময় ওভাবে শুনেছিলাম বলে মনে হচ্ছে।তখন মনে হয় বা ধরো এ ধরনের কথা শুরুতে বলে নিয়েছিলো কিনা এটা নিয়ে কোনো ধরনেরই সন্দেহ হয়নি।আর এটা নিয়ে অনেক দিন ভাবিনি কারন শায়খ নিষেধ করেছিলো এটা নিয়ে ভাবতে।৬/৭ মাস হঠাৎ ওই ঘটনাটা ভাবতে গিয়ে সন্দেহ হয় মনে করো কথাটা বলে নিয়েছিলো কিনা।অনেক আগের ঘটনা না তো সব কেমন জানি ঝাপসা হয়ে গেছে আর স্বামী উক্ত ঘটনার পরের দিন জিজ্ঞেস করলে বলে সে নাকি ওভাবে বলেইনি যেটা পূর্ব প্রশ্নে বলেছি।কিন্তু আমি ৭/৮মাস আগে যখন ঘটনাটা ঘটে তখন ওভাবে শুনেছিলাম বলে মনে হয়েছে।যেহেতু কথাটা আমিই শুনেছি আর এখন আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে।আর সে তো বলছে মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলেইনি।তবুও আমার আমার শোনা কথার উপর ভিত্তি করে জিজ্ঞেস করি সে ও রাগ করে উত্তরে বলে এখানে যে কেনো ২ উদ্দেশ্য হতে পারে হয় তোমাকে মাসয়ালা শিক্ষা দেওয়ার জন্য বলচি নয়তো তোমাকে স্ত্রী হিসেবে ত্যাগ করার জন্য বলছি।মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম কথাটা উল্লেখ করে জিজ্ঞেস করেচিলাম কিনা মনে নাই তবে ঐ বাক্যের দিকে ইঙ্গিত করে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার কি উদ্দেশ্য ছিলো তখন??

১."মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এরপরের মাসে যদি.....বাকিটুকু" এভাবে বললে কি কোনো তালাক হবে??

২.এমতাবস্থায় পূর্বের বনিত ঘটনা ও এখনকার সব বর্ননা মতে  ৬/৭ মাস পর মনে করো বলে নিয়েছিলো  কিনা এটা নিয়ে আমার  সন্দেহ হওয়ার কারনে তালাক হবে কি??স্বামীকে মনে কর বলা নিয়ে জিজ্ঞেস করিনি কখনো একন করবো কি?।তাছাড়া আগে মনে কর বা ধরো এধরণের কথা নিয়ে সন্দেহই ছিলোনা।৬/৭ মাস পর সন্দেহ হচ্ছে এতে তালাক হবে কিনা??

৩."সে ও রাগ করে বলে এখানে যে কেনো ২ উদ্দেশ্য হতে পারে হয় তোমাকে মাসয়ালা শিক্ষা দেওয়ার জন্য বলচি নয়তো তোমাকে স্ত্রী হিসেবে ত্যাগ করার জন্য বলছি।" এভাবে বলার কারনে মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলেছিলো বলে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবে??

৪."তোমাকে তালাক দিলাম।এর পরের মাসে যদি না দি তখন আমি অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য বলি যদি কেউ তার স্ত্রীকে না দেয় সাথে সাথে সেও বলে যদি না দেয়। এরপরের মাসে যদি না দেয়(এখানে আমি অন্য স্বামী স্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বলার পর সে যতোটুকু কথা বলছে আমার মনে হয় সেও অন্যদের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে। তাও লাস্ট বাক্যটা নিয়ে একটু সন্দেহ হচ্ছে অন্যদের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে কিনা দেয় বলেছে নাকি দিই বলেছে।) তাহলে এমনিতে তালাক হয়ে যাবে।" এখানে বর্ননা মতে কয় তালাক হবে যদি মনে কর বলে না নেয়??

৫.এমনিতেই তালাক হয়ে যাবে এট দ্বারা যদি সে বোঝাতে চায় যে ১ তালাকে বাইন হয়ে যাবে (২য় বা ৩য় তালাক দেয়া উদ্দেশ্য না থাকে) ও পুনরায় বিয়ে করতে হবে তাহলে পুরো বিবরন মতে কয় তালাক হবে?? এখানে মাসয়ালাটা বলছে।

শায়খ সব প্রশ্নগুলোর উত্তর একটু বুঝিয়ে বলবেন যাতে আর প্রশ্ন করে বিরক্ত না করি আপনাদের,,,

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/44865/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো,তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংকে ক্লিক করুন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
তালাকের মাসয়ালা বুঝাতে গিয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে বলেছেঃ
"মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এরপরের মাসে যদি না দেয়,তাহলে এমনিতে তালাক হয়ে যাবে।"

এভাবে বললে কোনো তালাক হবেনা।

(০২)
এতে তালাক হয়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০৩)
এতে তালাকের স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবেনা।

(০৪)
এখানে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যদি স্বামী উক্ত বাক্য বলে,তাহলে এর পরের মাসে এসে দুই তালাক হবে।

(০৫)
এখানে ফায়সালা হিসেবে দুই তালাক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...