আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
reshown by
আসসালমুআলাইকুম ।

হুজুর আমার মনের মধ্যে খুব অশান্তি চলছে আমার ঘটনা টা পড়ার পর আমাকে এই অশান্তি থেকে বের হতে সাহায্য করুন।
আমি যখন ক্লাশ নবম শ্রেণী তে পড়তাম তখন আমার বয়স ১৩ কি ১৪ । হবে , আমর কিছু দুষ্টু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে একদিন একটা বয়স্ক মহিলার কাছে যাই, আমি দেখি আমার বন্ধুরা কিসের একটা গুঁড়ো নিল , যে গুঁড়ো টা তার কল্পনার মেয়ের গায়ে ছিটিয়ে দিলে নাকি সেই মেয়েটা প্রেম করবে। এমনটা নাকি তিন বার করতে হবে । আমরা তখন একসঙ্গে স্কুল এ পড়তাম একসময় দেখলাম সত্যি সত্যি মেয়েটা ভালোবাসতে লেগেছিল আমার ওই বন্ধুটাকে।
এমন ঘটনার পর আমিও একদিন তাদের সঙ্গে যাই এবং সেই মহিলার দেওয়া গুড়ো নিয়ে আসি, বা আমাকে আমার বন্ধু দিয়েছিল এইরকম কিছু একটা হবে হয়ত, এবং আমিও একজন বন্ধু কে নিয়ে গিয়েছিলাম সেও চেষ্টা করে কিন্তু সফল হয়নি আমার বন্ধুর ইচ্ছাতে আমাকে জোর করেছিল তাই নিয়ে গিয়েছিলাম। মহিলাকে যে মেয়ের উদ্দেশে এমন টা করা হবে তার নাম এবং তার বাবার নাম বলতে হতো মনে হয়। এবং আমি একটা মেয়ের গা এ ছিটিয়ে দি, বা যে রাস্তা দিয়ে মেয়ে টা পায়ে হেঁটে যেতো সেই রাস্তায় ছিটিয়ে দিয়ে এসেছিলাম । বিষয় হলো এমন হওয়ার পর কখনো মনে হয়নি যে সেই গুঁড়ো কাজ করেছে, বা মেয়ে টা আমাকে ভালোবেসেছে, আমি তো মেয়েটার পিছুনে এমনিতেই ঘুরতাম , হটাৎ একদিন মেয়েটা আমাকে বলে সে আমাকে ভালোবাসে। আমিও খুব সিরিয়াস ছিলাম আমিও ভালবাসতাম হটাৎ মেয়েটা আমাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করে, আমি তার পিছনে পাগলের মত ঘুরতে থাকি , আস্তে আস্তে সব ভুলে গিয়ে আমি মেডিক্যাল এর জন্য পড়াশোনার করতে বাইরে গেলাম তার পর আর যোগাযোগ নেই, এমন হতে হতে মেয়ে তার বিয়ে হয়ে যায় , দিয়ে পারিবারিক কারণে ডিভোর্স হয়। দিয়ে মেয়ে টা অন্য একটা ছেলের সাতে আবার সম্পর্ক করে এবং আমার সাতেও কথা বলার চেষ্টা করে, তখন আমার সাতে কথা হয় আমি তাকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চাই, সে চাইনি অন্য ছেলের সাতে সম্পর্ক করে বিয়ে করে অনেক দিন হলো এখন সংসার করছে। এবং আমার বন্ধু যে মেয়ের জন্য করেছিল সে একজন বর্তমানে নার্স। সে মেয়ে টা 2 টো বিয়ে করে। প্রথম বিয়ে করে পারিবারিক কারণে ভেঙে যাই আবার বিয়ে করে সেই সময় প্রেম অন্য একটা ছেলের সঙ্গে করতো স্বামী জেনে যায় অশান্তি হয় এমনি কি অনেক ছেলের সঙ্গে প্রেম করতো।
হুজুর বিষয় হলো আমার এত বুঝ ছিল না তখন , আমি অনেকদিন আগে তওবা করেছি ভুল স্বীকার করেছি , হুজুর আমার এখন বিয়ে হয়েছে সংসার হয়েছে,
১.হুজুর এক্ষেত্রে কি আমার এই গুনহা মাফ হবে ?

২.যেহেতু মেয়ে টা তো আমাকে ছেড়েছে, তাহলে তো যে উদ্দেশ্যে নিয়ে কাজ করা হয়েছিল তা তো হয়নি তাহলে কি সেই মেয়ের কাছে মাফ চাইতে হবে, এমনি তে তার কাছে অন্য কারণে ক্ষমা চেয়েছি যে তোমাকে বিরক্ত করার জন্য মাফ করো বলেছি। এই বিষয়ের জন্য কিছু বলিনি। হুজুর আমি কি মাফ পাবো?
৩. আমার বন্ধুর ও একই অবস্থা কোনো কাজই হয়নি , যেহেতু আমি নিয়ে গিয়েছিলাম , অবশ্য সে আমাকে বলেছিল , ৯ বছর আগের ঘটনা। বন্ধু ধর্মে হিন্দু ছিল।

আমার বন্ধুকে নিয়ে গিয়েছিলাম এই পাপ কি আমার মাফ হবে না ?
হুজুর এইসব ঘটনার পর অনেকদিন মেয়ে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে , সে তো আমাকে ভালই বাসেনি, তারা শুধু মজা করেছে, কোনোদিনওআর ভাল বাসেনি।, আমার বন্ধুর ক্ষেত্রে ও একই অবস্থা।

হুজুর আমি খাস দিলে অনেক দিন আগে তওবা করেছি , আজ একটা প্রশ্ন দেখে মনে পড়লো তাই আলাগোচা ভাবে প্রশ্ন করছি ।

আমি কি মাফ পাবনা ? আমি কি কাফের হয়ে যাবে।
আমার ভেতর একদম পুড়ছে আমি ভয় এ শেষ হয়ে যাচ্ছি। আমার সমস্ত ঘটনা পড়ে , আমি তৌবা করলে আখেরাতে মাফ পাবো ? আমাকে বলেন আমার করণীয় কি।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাওবাহ করলে সকল গোনাহকেই আল্লাহ ক্ষমা দেন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَن يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَىٰ مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।
أُولَـٰئِكَ جَزَاؤُهُم مَّغْفِرَةٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ وَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ
তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।(সূরা আলে ইমরান-১৩৫-১৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এখানে কয়েকটি গোনাহের কাজ করেছেন,প্রথমত অবৈধ উদ্দদেশ্যে অবৈধ ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নিয়েছেন। এই ঝাড়ফুঁক কুরআন হাদীস সম্মত না হওয়ার কারণে, এটা অবশ্যই নাজায়েয ও হারাম।
দ্বিতীয়ত, আপনি অবৈধ প্রেমভালবাসায় লিপ্ত ছিলেন, এরজন্য আপনার অবশ্যই গোনাহ হবে।

আপনার জন্য পরামর্শ হল,
এই সব শিরকি ও বড় বড় গোনাহের কাজ থেকে আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করুন। এগুলোর ধারে কাছেও আর যাবেন না।এবং অতীতের এই গোনাহের কাজকে গোপন রাখবেন। অবশ্যই আল্লাহ তাওবাহকে কবুল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...