বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তাকে হেকমতের সাথে বু্ঝিয়ে পাপাচার থেকে বিরত রাখা উচিৎ।সবরকম চেষ্টা করার পরও যদি ক্ষান্ত না হয়,তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।সামাজিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয় আইনের আশ্রয় নিয়ে।
এমন ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেয়া বা তার সাথে উত্তম আচরণ করা অবশ্যই উত্তম।
উকবাহ ইবনে আমির রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر قال لقيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لي يا عقبة بن عامر صل من قطعك وأعط من حرمك واعف عمن ظلمك
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন,হে উকবাহ ইবনে আমের!যে সম্পর্ককে ছিন্ন করতে চায়,তার সাথে তুমি সম্পর্ক স্থাপন করো।যে তোমাকে মাহরুম করেছে,তাকে তুমি দান করো।যে তোমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে,তাকে ক্ষমা করে দাও।(মুসনাদে আহমাদ-১৬৯৯৯)
তবে যদি ক্ষমা প্রদর্শনের কারণে বা উত্তম আচরণের কারণে সে ঔদ্যত হয়ে যায়,বা অহংকারী হয়ে জুলুম-নির্যাতনের দিকে অগ্রসরমান থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তিকে জুলুম-নির্যাতন থেকে বিরত রাখা এলাকার সবার দায়িত্বও কর্তব্য।
আপনি তার সাথে উত্তম আচরণ করবেন।যদি সে এর ফলে অহংকারী হয়ে যায়,তাহলে তার সাথে এমন আচরণ করবেন,যাতেকরে সে জুলুম নির্যাতন থেকে বিরত থাকে।
(২)
পুকুর ভর্তি কচুরিপানা থাকলে,সেই পুকুরের পানি পবিত্র হওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে।কেননা এদ্বারা পানি অপবিত্র হওয়ার কোনো কারণ নাই।
(৩)
কুরআনের ঘোষনা, "প্রত্যেক জিনিষ মরণশীল" এটা জানার পরও যদি কেউ ধারনা করে যে বিজ্ঞানীরা এমন কিছু ভবিষ্যতে আবিষ্কার করতে পারবে,যার দ্বারা অমর থাকা যাবে।
এমন ধারণা বিশ্বাস স্পষ্টত কুরআন বিরোধী। যদ্দরুণ ঈমান থাকবে না।কেননা এটা স্পষ্টত কুরআন বিরোধী।
(৪)
জান্নাত একটি কিন্তু তার দরজা আটটি।
দলীল নিম্নোক্ত হাদিসটি:
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : فِى الْجَنَّةِ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابٍ مِنْهَا : بَابٌ يُسَمَّى الرَّيَّانَ لَا يَدْخُلُه إِلَّا الصَّائِمُوْنَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
সাহল ইবনে সা‘দ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ‘রাইয়ান’ নামে একটি দরজা রয়েছে। সিয়াম পালনকারীগণ ছাড়া এ দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
জাহান্নাম একটি কিন্তু তার দরজা সাতটি:
দলীল: আল্লাহ বলেন:
وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ أَجْمَعِينَ – لَهَا سَبْعَةُ أَبْوَابٍ لِّكُلِّ بَابٍ مِّنْهُمْ جُزْءٌ مَّقْسُومٌ
“তাদের সবার নির্ধারিত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম। এর সাতটি দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার জন্যে এক একটি পৃথক দল আছে।” (সূরা হিজর ৪৩ ও ৪৪ নং আয়াত)
মুফাসসিরগণ বলেন: উপর নিচ করে সাতটি স্তরে জাহান্নামের দরজাগুলো অবস্থিত। ইবলিস শয়তানের অনুসারীরা তাদের আমল অনুযায়ী উক্ত দরজাগুলো দিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
জান্নাতের স্তর কতটি? এ সম্পর্কে বিভিহন্ন রকম হাদীস ও মতামত পাওয়া। মোটকথাঃ এ সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা যাবে না।হয়তো কুরআনের আয়াত সমপরিমাণ জান্নাতের স্তর রয়েছে।কিংবা একশত স্থর রয়েছে,যা মুজাহিদদের জন্য নির্ধারিত বলে হাদীসে প্রমাণিত রয়েছে।
জাহান্নামের স্থর
জাহান্নামের স্থর সাতটি।