জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর এমন কথা দ্বারা কোন সমস্যা হবেনা।
(০২)
উপরের কথাগুলো বলার কারনে তাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।
(০৩)
তার বাবা মা যদি সম্পত্তি বা অন্য কিছুর কাগজ বলে সাইন নেয়, তাহলে পরে যদি তালাকনামা বানিয়ে ফেলে ঐটাকে, তাহলে তালাক হয়ে যাবেনা।
(০৪)
সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মাতা পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করে অভিশাপ থেকে বাঁচতে।
নিয়মিত ক্ষমা চাইবে।
,
ভালো ব্যবহার ও অনুনয়  বিনয়,কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও যদি তারা অভিশাপ দেয়,তাহলে উক্ত অভিশাপ কাজে আসবেনা,ইনশাআল্লাহ। 
(০৫)
এতে তালাক হবেনা।
(০৬)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .
কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 
★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 
★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷
সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)